হলিউড ছেড়ে স্পেনে পাড়ি জমালেন অ্যাম্বার হার্ড

0

বিনোদন ডেস্ক : হলিউড ছেড়ে স্পেনের মাদ্রিদে চলে গেছেন অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বেশ কিছু প্রতিবেদনে।

ডেইলি মেইলের সাংবাদিক অ্যালিসন বোশফ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দাবি করেছেন যে, অ্যাম্বার হার্ড হলিউড ছেড়েছেন। তিনি লেখেন, “আমি প্রকাশ করতে পারি যে হার্ড হলিউড ছেড়েছে এবং মেয়ে ওনাঘের সাথে স্পেনে স্থানান্তরিত হয়েছে।” সাংবাদিকের মতে, হার্ডের এক বন্ধু বলেছেন, “অ্যাম্বার স্প্যানিশ ভাষায় দ্বিভাষী এবং সেখানে খুশি। তিনি তার মেয়েকে সমস্ত গোলমাল থেকে দূরে রাখার জন্য স্পেনে স্থানান্তরিত হয়েছেন।”

হার্ডের বন্ধু আউটলেটকে আরও বলেছিলেন যে ৩৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী হয়তো একদিন হলিউডে ফিরেও আসতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে তিনি সুখী জীবনযাপনের দিকেই মনোনিবেশ করছেন।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুসারে অভিনেত্রীর বন্ধুর মতে, “আমি মনে করি না যে তিনি কাজ বা হলিউডে ফিরে যাওয়ার জন্য কোন তাড়াহুড়ো করছেন। তবে সঠিক প্রকল্পের জন্য সঠিক সময়ে তিনি সম্ভবত ফিরে আসবেন।”

সাবেক স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে পরাজয়ের পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন হার্ড। গত বছর জুলাই মাসে তারকা ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজের ইউকা ভ্যালি ১.১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছেন। প্রাক্তন স্বামীর সাথে তার মানহানির মামলার বিচারের প্রায় এক বছর পরে স্পেনে স্থানান্তরিত হন অ্যাম্বার হার্ড।

জনি এবং অ্যাম্বার ২০১৫ সালে তাদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালের মে মাসে অ্যাম্বার জনির কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পান। তিনি বলেছিলেন যে জনি তাদের সম্পর্কের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। জনি এটি প্রায়ই করত, যখন নেশায় থাকত।

বহুল আলোচিত এই মানহানি মামলায় অ্যাম্বার হার্ডকে দোষী করে রায় দেন আদালত। ফলে ডেপকে ১০.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয় অ্যাম্বার হার্ডকে। মামলায় পরাজিত হওয়ার পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের অর্থের জরিমানা গুনতে হবে অ্যাম্বার হার্ডকে, যা এই মুহূর্তে অ্যাম্বারের জন্য খুব কঠিন ছিল। তাই মামলাটির রায়ের জন্য পুনরায় আপিল করেছিলেন অ্যাম্বার। নভেম্বরের শেষের দিকে আপিল করে ৬৮ পৃষ্ঠার একটি নথি জমা দিয়েছিলেন অ্যাম্বার। তবে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তারকার নেই, এমনটাই জানা গেছে। তাই অবশেষে মামলাটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অ্যাম্বার।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.