শেখ মুজিবের জন্মশত বার্ষিকী পালন। ।।। ভুলি নাই ভুলবো না।।। বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মাহমুদ
১৭ ই মার্চ। আজকের এই দিনে জন্ম হয়েছিল এক ক্ষনজন্মা পুরুষ যাকে মহান আল্লাহ তালা সৃষ্টি করেছিলেন বাঙ্গালী জাতির অসংবাদিত নেতা হিসেবে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে এবং বিশ্বের মেহনতী ও শোষিত মানুষের কন্ঠস্বর হিসেবে। তিনি আর কেউ নন বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অবহেলিত, অধিকার বন্চিত, বৈসম্যের শিকার গোটা বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে উপহার দিয়েছেন এক স্বাধীন বাংলাদেশ। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে “বিশ্ববন্ধু ” হিসেবে সারা বিশ্বের মানুষের মন কেড়ে নিয়েছিলেন বিশেষ করে বিশ্বের শোষিত ও মেহনতি মানুষের মন।
রাশিয়ার ততকালীন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার জনগনের পক্ষে তাঁকে বিশ্ব শান্তির প্রতিক ” জুলিও কুড়ি ” প্রদান করেছেন। জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্র সমূহের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগন তাঁকে তাঁদের নেতা হিসেবে বিরল সম্মান দেখিয়েছেন। যুগোশ্লাভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো তাঁকে যে সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন তা সত্যি নজীরবিহীন। কিউবা এর প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্ব বর্ননা করতে গিয়ে বলেছিলেন আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মজিবকে দেখেছি।এছাড়াও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সহ বিশ্বের বহু দেশের সরকার প্রধান ও জনগণ তাঁর কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আমরা বাঙ্গালীরা বঙ্গবন্ধুকে নেতা হিসেবে পেয়ে গর্বিত।
শেখ মজিব জাতিসঙ্গে বাংলায় ভাষন প্রদান করে বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত ও মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যানের জন্য হেন কাজ নাই যা তিনি করেন নাই। জীবনে জেল জুলুম সহ্য করেছেন দীর্ঘ সময় জেলখানায় থেকেছেন। কখনো কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন নাই।
এই মহান ব্যক্তির জন্ম শত বার্ষিকীতে জানাই অন্তহীন শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। স্মরণ করি তাঁর কৃতকর্ম। দোয়া করি মহান আল্লাহ তালা তাঁকে বেহেশত নসীব করুন এবং তাঁর সন্তানদেরকে হেফাজত করুন।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হউক।
লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী ও কলাম লেখক ।