মা-মাটি-মাতৃভূমি ও স্বাধীনতাকে হেয় প্রতিপন্ন করা উচিত নয় – হীরেন পণ্ডিত
মা মাটি মাতৃভূমি এবং আমাদের স্বাধীনতা একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ও সম্পর্কযুক্ত। একটিকে বাদ দিলে আরেকটির অস্তিত্ব একেবারেই অসম্ভব। আমরা পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে প্রথমেই স্থান পাই মায়ের কোলে। মায়ের কারণেই সুশীতল পৃথিবীর সুন্দর মুখখানি দেখতে পাই। শিশু হয়ে জন্মগ্রহণের পর এই বিশাল ও সুন্দর পৃথিবীর বুকে নিজেকে খুব অসহায় মনে করেছি। সুন্দর নীল আকাশের নীচে নিজেকে দুর্বল ভেবেছি ও অসহায় বোধ করেছি। তাই মায়ের আদর, যত্ন ও ভালোবাসার উপর ভর করে ধীরে ধীরে বড় হয়েছি। অন্যান্য শিশুর মতো ধীরে ধীরে পৃথিবীর আলো বাতাস, তাপ গ্রহণ করে একজন শিশু বড় হয় আমরা সবাই সেভাবেই বড় হয়েছি।
চার দিকের নীল আকাশ, শস্য, শ্যামল, শ্যামলিমা, বন, বনানী, সবুজ মাঠ, সবুজের সমারোহ, ফসলের মাঠ এবং সামগ্রিক সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের সবসময় মুগ্ধ করে রাখে। সবার মতো আমরা চার পাশের প্রকৃতিকে মায়ের মত ভালোবাসতে শুরু করি। দেশের মাটিতেই লালিত পালিত হয় বলে সবার কাছেই এই মাটি মায়ের মত প্রিয় এবং মায়ের মতই সে মাটিকে আমরা ভালোবাসি। একজন মা যেমন সন্তানের কাছে বিপদের বন্ধু, সুখ-দুঃখের আশ্রয়স্থল, অত্যন্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পাত্র, এক কথায় পূজনীয়। তাই মা ও মাটির সাথে, দেশের সাথে নাড়ির টান ও গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। মাকে আমরা যেমনভাবে ভালোবাসি, মাতৃভূমিকেও ও আমরা সেইভাবেই ভালোবাসি। বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকবৃন্দ প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বর্গের সাথে তুলনা করেছেন, তুলনা করাও স্বাভাবিক- কারণ জন্মইতো এই প্রিয় পবিত্র মাতৃভূমির উপর, তাই স্বর্ণের চেয়েও পবিত্র বিশুদ্ধ রক্ত দিয়ে তৈরী প্রিয় মাতৃভূমি। মাতৃভূমিকে সবাই করেছেন সম্মানিত, পৃথিবীর মানচিত্রে নিজেদের মাতৃভূমিকে করেছেন গৌরবান্বিত। কবিরা, সাহিত্যিকরা এবং বিশিষ্টজনেরা তাঁদের মাতৃভূমির ভাবনা তাঁদের কথায়, তাঁদের ভাষায়, তাঁদের উচ্চারণে, তাঁদের লেখায় ব্যবহার করেছেন। কখনো কখনো ও তাঁদের কাছে মাতৃভূমিই তাঁদের কাছে প্রেরণার উৎস বা প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে। এই বাঙালি জাতি মহান জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। তাই জন্মদাত্রী জননী আমাদের কাছে যত প্রিয়, ভালোবাসার, যত আপন, জননীকে আমরা যত ভালোবাসি, যেভাবে ভালোবাসি, মাতৃভূমি ও আমাদের মহান স্বাধীনতাকেও আমরা ততোটাই ভালোবাসি। আমাদের কাছে আমাদের স্বাধীনতা ততোটা ভালোবাসার দাবী রাখে।
মাতৃভূমি ও জন্মস্থানের প্রতি মানুষের এ দুর্নিবার আকর্ষণ বা ভালোবাসা, ভালো লাগা, গভীর আবেগ-অনুভূতি ও মমত্ববোধকেই বলে দেশপ্রেম। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কিছু করা গৌরবের বিষয়। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত মানুষ সমাজের চোখে যেমন সম্মানিত, তেমনি সবার কাছে অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদার অধিকারী। দেশপ্রেম একধরনের পরিশুদ্ধ ভাবাবেগ, যা মানুষকে কর্তব্যপরায়ণ ও দায়িত্ব সচেতন করে তোলে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় ত্যাগ স্বীকারে উদ্বুদ্ধ করে এবং দেশের জনগণের সেবায় উৎসাহী করে তোলে। দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধের অভাব মানুষের মনুষ্যত্বের মৃত্যু ঘটায়, দেশকে যারা ভালোবাসে না, তারা চরম অকৃতজ্ঞ, তাদের দ্বারা কখনো দেশের মঙ্গল সাধিত হয় না। আর যারা অকৃতজ্ঞ তারা প্রকৃতপক্ষে মানুষ নয়।
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যাঁরা দেশের কল্যাণে কাজ করে তারাই প্রকৃত মানুষ। দেশমাতৃকার প্রতি ভালোবাসা মানুষকে ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত করে পারস্পরিক সদাচরণ করতে শেখায়। দেশের মানুষের বিভিন্ন দলমত, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, পরস্পরের প্রতি বিরোধ, সংঘর্ষ-সহিংসতা ও প্রতিহিংসার পরিবর্তে একে অন্যের সহযোগিতা, সহানুভূতি ও পৃষ্ঠপোষকতার ভাবধারা গড়ে তোলার জন্য পরমতসহিষ্ণুতার শিষ্টাচার গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ ও স্বদেশের প্রতি মমতা অনেক অন্যায় ও অপরাধ প্রবণতা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে পারে। তাই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করতে হলে অবশ্যই দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। স্বদেশের প্রতি অনুগত থেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দেশমাতৃকার প্রতি ভালোবাসা সবার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বাংলাদেশের মানুষ হলে বাংলাদেশকে স্বীকার করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে মানতে হবে এবং অন্তরে ধারণ করতে হবে। আপনি সরকারের সমালোচনা যত খুশি করতে পারেন, সরকারের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে পারেন। কিন্তু দেশ, মা, মাটি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অপমান বা ছোট করতে পারেন না। সরকার আর রাষ্ট্র এক বিষয় নয়। সরকারের সমালেচনা করা যায় কিন্তু রাষ্ট্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোন কথা বলার বা মন্তব্য করার কোন সুযোগ নেই।
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা এবং এর মান মর্যাদা রক্ষা সবার দায়িত্ব। এমন কোন কাজ করা কারো উচিত নয় যা দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ও সার্বভৌমত্বে বিরুদ্ধে যায়। অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতাকে হেয় করা হয় এমন কাজ কারো করা উচিত নয়। বিভিন্ন মহল এটি করতে চাইবে তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কারো ফাঁদে আপনি পা দেবেন কিনা। আমরা যেন কোন মহলের ক্রীড়নক না হয়ে উঠি সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
অনেকদিন ধরেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা সব মিলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের অর্থনীতিই নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে সেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সরকারকে বারবার অভ্যন্তরীণ মুদ্রার মানের অবমূল্যায়ন করতে হয়েছে। আমদানি পণ্যের দাম পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভ কমছে। তবে নানা পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কা কেটে যাচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় বাজারে কৃত্রিমভাবে দ্রব্যের সংকট তৈরি পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে।
শুধু দিনমজুর নয়, অনেক সচ্ছল মধ্যবিত্তেরও বাজারে গেলে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয়ে যায় এখন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের পুষ্টিতে টান পড়েছে। বাজারের তালিকায় অনেক সামগ্রী বাদের তালিকায় থেকে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু খরচ কমানোর উপায় নেই বলে বাজারের খরচ কমাতে হয়েছে। তাতে মাছ-মাংস খাওয়ার হার কমে যাচ্ছে অনেক পরিবারের খাদ্য তালিকা থেকে। তাই বলে কি আমাদের ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে গেছে? স্বাধীনতা কি এমনই একটি বিষয়! দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই চলে আসছে নানা কথা বার্তা। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বেশকিছু তড়িৎ সিদ্ধান্তের ফলে আমরা অনেক জটিল অবস্থার দ্রুত সমাধান করতে পেরেছি।
পৃথিবীর যে কোন স্বাধীন দেশেই সব মানুষের সব চাহিদা পূরণ করা একবারেই সম্ভব হয় না। কিন্তু তাই বলে তো স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যায় না। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়, এ রকম মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে। স্বাধীনতার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকতেই পারবে না। বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি। কিন্তু ৫২ বছরে বাংলাদেশ সবাইকে অবাক করে অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। এই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। দেশে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকারের সুযোগ নেই, মানবাধিকার পরিস্থিতি সুখের নয়, সুশাসনের ঘাটতি আছে, লাগামহীন দুর্নীতি রয়েছে, অর্থপাচারসহ অভিযোগের ফিরিস্তি যে অনেক লম্বা বা বলে শেষ করা যাবেনা। কিন্তু একটি সরকারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ করা আর মনের মাধুরি মিশিয়ে সরকারের সমালেচানা করা আর বাজার দরের সঙ্গে স্বাধীনতাকে মিলিয়ে ফেলাটা কোন সঠিক কাজ নয়। একজন মানুষ যে মাছ, মাংস, চালের স্বাধীনতা চান এটাও স্বাধীনতারই অর্জন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার একটি অংশ। একসময় এই দেশে দুর্ভিক্ষ ছিল, মঙ্গা ছিল, অভাবে মানুষ হাহাকার করতো। আমরা এখন সেসব আমরা অনেক পেছনে ফেলে এসেছি। একসময় মানুষ দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পেলেই বেজায় খুশি ছিল। এখন সেই মানুষজন মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চায়, এটাও একটা বড় অর্জন।
তবে এই কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে দেশের সকল মানুষকে করোনার টিকা প্রদান করেছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতুর মতো দু’টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং দেশের মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছে। শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারী শিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ ও বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও চিকিৎসাব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ অনেক কাজ কিন্তু এই সরকার করেছে। এগুলোও মনে রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তা প্রধানমন্ত্রী কঠোর পরিশ্রম ও মেধা-মনন দিয়ে বাস্তবায়িত করে যাচ্ছেন এক নাগাড়ে। শেখ হাসিনাই পারবেন উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। ২০২০ এবং ২০২১ এই দুই বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। অনেক দেশের অর্থনীতিতে ধস নামে। আমাদের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়ে। করোনাভাইরাস মহামারির সেই ক্ষতি কাটিয়ে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের প্রাণহানি যেমন কমানো গেছে, তেমনি অর্থনীতিকে সচল রাখতে সকল প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ, ধনী-দরিদ্র-নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা, শহর ও গ্রামের সেবা প্রাপ্তিতে দূরত্ব হ্রাস করা সবই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও প্রযুক্তির কল্যাণে এখন গ্রামে বসেই যে কেউ চাইলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করতে পারছে। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকতা, অপসাংবাদিকতা, ভুল সাংবাদিকতা, উদ্দেশ্যমূলক সাংবাদিকতা, গণমাধ্যমের দায়, গণমাধ্যমের দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে অবশ্যই কথা বলতে হবে। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা চলুক তাতে কোন সমস্যা থাকার কথা নয় তবে সেই সমালোচনা যেন রাষ্ট্র এবং তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ না করা হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তার আগে আরও বেশি করে কথা বলতে হবে দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে। সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে মা-মাটি-মাতৃভূমি ও দেশমাতৃকার স্বাধীনতাকে হেয় প্রতিপন্ন না করি সেটা সবার মনে রাখতে হবে। সেটা রাখাই অত্যন্ত জরুরি।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক