আগুনের পরশমণি : মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য ছায়াচিত্র । ড.মো.আনোয়ারুল ইসলাম

আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রটির সার্থকতার জায়গাটি শেষ দৃশ্যে। আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গানটি সংযোজন করে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্টিশীলতার প্রমাণ করেছেন। যুদ্ধ ও মৃত্যুকে পেছনে ফেলে স্বাধীনতার সূর্য পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা বদি (আসাদুজ্জামান নূর)কে রাত্রি (বিপাশা হায়াত) অনুপ্রাণিত করছেন ভোরের সূর্যালোক স্পর্শ করতে।

0

[১৯ জুলাই নন্দিত কথাশিল্পী নাট্যকার চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ুন আহমেদের প্রয়াণদিবস।এ উপলক্ষে তাঁর কিছু কালজয়ী চলচ্চিত্র নিয়ে আমরা আলোচনা করব। এ পর্বে থাকছে আগুনের পরশমণি নিয়ে আলোচনা।]

আলোচনার শুরুতেই চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ইঙ্গমার বার্গম্যান বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি গতিময় শিল্প মাধ্যম। আজ পর্যন্ত যত আর্টফর্ম তৈরী হয়েছে তার চূড়ান্ত সন্নিবেশ ঘটেছে চলচ্চিত্রে। চিত্রকলা, নাট্যকলা, নৃত্যকলা, সঙ্গীতকলা, সাহিত্য কর্মের এক অবিচ্ছেদ্য মিলনমেলা হল চলচ্চিত্র। তাই এই মাধ্যমটি অতিবিশাল, অতিক্ষিপ্র, অতি সংবেদনশীল। আর কোন শিল্প মাধ্যম এর মত এতটা দ্রুত বিস্তার ক্ষম হতে পারেনি।

চলচ্চিত্রের সাথে ইতিহাসের সম্পর্ক অতি নিবিড় এবং ঘনিষ্ট।একটি দেশের সমাজ সংস্কৃতির সবকিছুই চলচ্চিত্রে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়। চলচ্চিত্র শক্তিশালী আধুনিক গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রের অবদান যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এখনো হচ্ছে। কিন্তু দু:খ জনক হলেও সত্য যে আদর্শ চেতনা ও অঙ্গীকার নিয়ে এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তার সার্বিক চিত্র আমাদের চলচ্চিত্রে আজও প্রতিফলিত হয়নি। কিন্তু আমরা জানি, পৃথিবীর বহু দেশের চলচ্চিত্রেই সে সকল দেশের গণ আন্দোলনের ঘটনা গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং হচ্ছে। ওয়ার এ্যান্ডপিস, বিলিভ অব এসোলজার , ক্রেনস অব ফ্লাইং, লিবারেশন লিটল ফ্লাওয়ার , তারই কিছু উল্লেখযোগ্য নমুনা।

আমাদের দেশের চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত কিংবা দর্শকদের মনে গেঁথে যাবার মতো চলচ্চিত্র খুব একটা নির্মিত হয়নি।  এর মূলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে স্বাধীনতার চেতনা বাধাগ্রস্থ হয়। সামরিক শাসনের নামে শুরু হয় স্বৈর শাসন। ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা চলতে থাকে। আশির দশকে এ সংকট তুঙ্গে ওঠে। হুমায়ূন আহমেদ তখন উঠতি লেখক। তাঁর উপন্যাস , নাটক ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। জাতির ইতিহাসের অবক্ষয় তাঁকে ব্যথিত করে। তিনি এগিয়ে আসেন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মানে। আগুনের পরশমনি তাঁর প্রথম নির্মিত চলচ্চিত্র। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নিজের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে এই আগুনের পরশমনি চলচ্চিত্রটি নির্মান করেন।

নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আগুনের পরশমণি নিয়ে উপন্যাস রচনা করেন ১৯৮৬ সালে। অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত এই উপন্যাসটিকে তিনি চলচ্চিত্রে রূপদান করেন ১৯৯৪ সালে।  সরকারের অর্থায়ন সহযোগিতায় চলচ্চিত্রটি নির্মিত হলেও এর আবেদন সাধারন চলচ্চিত্রকে ছাপিয়ে যায়। বাংলাদেশের উনিশতম জাতীয় চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ আটটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। নূহাশ চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিবেশনায় নির্মিত ১২৩ মিনিটের দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি নির্মাণে হুমায়ূন আহমেদের সাথে সহযোগী হিসেবে সুরকার সত্য সাহ‍া, চিত্র গ্রাহক আকতার হোসেন এবং সম্পাদনায় আতিকুর রহমান কাজ করেছেন। অভিনয়ের জন্য হুমায়ূন আহমেদ বেছে নেন দক্ষ কলা কুশলীদের। বলা বাহুল্য বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত নাটক মানেই কিছু নির্ধারিত দক্ষ অভিনেতার সমষ্টি । এদের মধ্যে থেকে আগুনের পরশ মণির অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করেন। এরা হলেন বিপাশা হায়াত [রাত্রি],আসাদুজ্জামান নূর [বদি], আবুল হায়াত [মতিন], ডলি জহুর [সুরমা], শিলা আহমেদ [অপলা], দিলারা জামান [বদির মা], মোজাম্মেল হোসেন [বদির মামা] সালেহ আহমেদ [চায়ের দোকানদার], হোসনে আরা পুতুল [বিন্দি] লুৎফর রহমান জর্জ [জর্জ] প্রমুখ। চলচ্চিত্রে গানের কথা নেয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ও হাছান রাজার গান থেকে। অসাধারণ গেয়েছেন শাম্মী আখতার ও মিতা হক।

আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রটির সার্থকতার জায়গাটি শেষ দৃশ্যে। আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গানটি সংযোজন করে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্টিশীলতার প্রমাণ করেছেন। যুদ্ধ ও মৃত্যুকে পেছনে ফেলে স্বাধীনতার সূর্য পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা বদি (আসাদুজ্জামান নূর)কে রাত্রি (বিপাশা হায়াত) অনুপ্রাণিত করছেন ভোরের সূর্যালোক স্পর্শ করতে। আবেগঘন সংলাপের সাথে  আবহ সংগীতে আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে শুধু চলচ্চিত্রের দৃশ্যেই নয় গোটা প্রেক্ষাগৃহের দর্শকের প্রাণে আবেগ সঞ্চার করে। জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি করে বাঙালিকে নতুন উদ্যম ও পথ দেখাতে সাহস জোগায়। শোককে কিভাবে শক্তিতে পরিণত করা যায় হুমায়ুন আহমেদ সেটাই দেখালেন। শেষ দৃশ্যের এই রূপায়ন তিনি শুরু করেছিলেন চলচ্চিত্রের সূচনা সঙ্গীতের মাধ্যমে। যেখানে চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ বলিষ্ঠ প্রতিবাদের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আবহ সঙ্গীতে।  তাতে তিনি  বলছেন-

হাতে তাদের মারণাস্ত্র চোখে অংগীকার

সূর্যকে তারা বন্দি করবে এমন অহংকার

ওরা কারা ওরা কারা ?

ওরা কারা ওরা কারা ?

দীপ্ত চরণে যায়

মৃত্যুর কোলে মাথা রেখে ওরা জীবনের গান গায়।

হুমায়ূন আহমেদ রচিত সূচনা সঙ্গীতটি শুরুতেই দর্শকদের ধূম করে জাগিয়ে তোলে আন্দোলিত করে সর্বোপরি নতুন উদ্যম তৈরি করে। সূচনা সঙ্গীতের গীতি মাধুরী আমাদেরকে গণ আন্দোলনের মিছিলে শরীক করে তোলে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতার এক মহাকাব্যের নাম। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তারিখে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শুনিয়ে ছিলেন রেসকোর্স ময়দানে। ৭ মার্চের সেই ভাষণ ১৯৭৫ সালের পর অনেকটাই নিষিদ্ধ হয়েছিল গণমাধ্যমে। হুমায়ূন আহমেদ সাহসের সাথে সেই বজ্রকন্ঠ জুড়ে দিলেন আগুনের পরশমণিতে। চলচ্চিত্রের নাটকীয় ভঙ্গীমায় দেখা যায় অবরুদ্ধ ঢাকার এক পরিবারের প্রধান মতিন সাহেব [ আবুল হায়াত] ট্রানজিস্টারের শুনতে পান ৭ মার্চের ভাষনের অংশ বিশেষ।

মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি

রক্ত আরও দিব…

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম

এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।

৭ই মার্চের ভাষণ এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জয় বাংলা গানটিরও অংশ বিশেষ চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে স্পষ্টতই মনে হয়েছে এটা যেন সত্যিকার অর্থেই শুধু ওই সময়েরই বাঙালিদের নয় এটি সব সময়ই বাঙালিদের চাওয়া।

এভাবে মুক্তিযুদ্ধের একটি সুন্দর আবহ সৃষ্টি করেই দর্শকদের চলচ্চিত্রে প্রবেশ করান হুমায়ুন আহমেদ । কাহিনীর বিস্তার লাভ করে মুক্তিযুদ্ধে পুরনো ঢাকার একটি বাড়ীর মধ্য দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তুলে ধরেছেন।

একাত্তর মানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। অবরুদ্ধ বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নৃশংতা বর্বরতা । হত্যা যজ্ঞের মাধ্যমে পাকিস্তানীরা বাঙালিদের ধ্বংস করে দিতে চায়।  কিন্তু বাঙালি গর্জে ওঠে। হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। পণ করে দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করতে হবে। ন্যারেটিভে আমরা দেখতে পাই মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রির ঝাঁকার মাধ্যমে ডিনামাইট চলে যায় মুক্তিযোদ্ধা বদির [ আসাদুজ্জামান নূরের] কাছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দেয়ার সাসপেনশন প্রতিটি দর্শককে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহে নিয়ে যায়।  এরপরই দেখা যায় রাস্তায় মিলিটারি গাড়ি বের হবার শব্দ ।

টুকরো টুকরো সেলুলয়েড দৃশ্যের মধ্য দিয়ে সমগ্র চলচ্চিত্রে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের সকল কিছুরই অবতারণা ঘটেছে। ব্যক্তির ধর্ম অবস্থান সনাক্তকরণে পাকিস্তানী সৈন্যদের বাঙালিদের দিগম্বর করে হৈ হুল্লোড়ের দৃশ্য  গণ কবরে লাশ চাপা দেয়ার দৃশ্যের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সঠিক প্রতিফলন। এতে করে দর্শক চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে পাকিস্তানী  নৃশংসতার বহি:রূপ চিনতে পেরেছে।

গেরিলা যুদ্ধের ন্যারেটিভে চলচ্চিত্রকার সফল অভিযান দেখানোর পাশাপাশি গেরিলাদের পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধৃত হবার চিত্র তুলে ধরেছেন। বন্দী অবস্থার নিযাতন কতটা ভয়ঙ্কর এবং তাতে মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান কতটা অটুট তা দেখতে পাওয়া যায় গেরিলা যোদ্ধা রাশেদুল করিমের অভিনয়ে। বন্দীরত জিজ্ঞাসাবাদ দর্শকদের উৎকন্ঠায় ঠেলে দেয়। পাকিস্তানী মেজরের মুখে ঘৃনায় থু থু ছিটিয়েছেন এতে করে তাঁর ঝুঁকি বেড়ে গেলেও তিনি সহযোগীদের অবস্থান জানান নি। বিশেষ করে লিডার বদির  অবস্থান জানার জন্য পাকিস্তানী আর্মি অফিসার ছিল খুব উদগ্রীব।  রাশেদুল করিমের হাতের আঙুল কেটে ফেলার সুতীব্র চীৎকার সকল দর্শককে পাকিস্তানীদের অত্যাচারের সহ্য সীমার বাহিরে নিয়ে যায়। ঘৃণা আর ঘৃণা জমে ওঠে ফুসে ওঠে। তার সর্বশেষ বহিপ্রকাশ পাকিস্তানী আর্মি অফিসারের মুখে রাশেদুল করিমের থু থু ছিটানো। চরিত্রগুলোর টুকরো টুকরো ঘটনা আমাদের চোখের সামনে অপারেশন সার্চলাইটের কথা মনে করিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধা বদি কে খোঁজার নামে বর্বরতা নৃশংসতা চলচ্চিত্রটিকে মুক্তিযুদ্ধের রিয়েলে জিমের তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

তবুও এরই মাঝে হুমায়ূন আহমেদ রোমান্টিজম তুলে এনেছেন। ভালোবাসা তুলে ধরেছেন  বিপাশা হায়াত এবং আসাদুজ্জামান নূরের মধ্যে। এই এক চিলতে ভালোবাসার মাঝে ফুটে উঠেছে একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতি এক যুবতীর ভালোবাসা এক মায়ের ভালোবাসা এক পরিবারের নিটোল নিখাদ ভালোবাসা।  এই জায়গাটি আরো গভীর হয়েছে তুমুল যুদ্ধের মধ্যেও রবীন্দ্র সঙ্গীতের ব্যবহারের মাধ্যমে। চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো।/ ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো/ পাগল হাওয়া বুঝতে নারে ডাক পড়েছে কোথায় তারে—/ ফুলের বনে যার পাশে যায় তারেই লাগে ভালো/ নীল গগনের ললাটখানি চন্দনে আজ মাখা,/ বাণীবনের হংসমিথুন মেলেছে আজ পাখা।’  মুক্তির আকাঙ্খা ছাপিয়ে এই গানে বাঙালির ভালোবাসা মিশে গেছে এক অন্যপানে। ভোর হবার আকাঙ্খা শুধু একটি পরিবারের জন্যই নয় এটা যেন মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের অবসানের পর একটি নতুন দেশের অপেক্ষা। নতুন বার্তার অপেক্ষা। তাইতো শেষ দৃশ্যের সংলাপে বিপাশা হায়াত [রাত্রি] বলছে:

আপনাকে তাকাতে হবে। আপনাকে ভোর দেখতে হবে। …. এত সুন্দর সকাল। আপনি দেখবেন না? একদিন দেশ স্বাধীন হবে।… সবাই কত আনন্দ করবে। আপনি সেদিন আমার সাথে থাকবেন না।… এত সুন্দর আলো । আপনি একটু ছুঁয়ে দেখবেন না।

সত্যি অসাধারণভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের চাওয়াকে চলচ্চিত্রে তুলে ধরেছেন নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। এজন্য অপূর্ব এই কালজয়ী সৃষ্টিআগুনের পরশমণি আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে যুগ যুগ ধরে।

ড.মো.আনোয়ারুল ইসলাম : প্রে-ভাইস চ্যান্সেলর-পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ।

 

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.