সন্ধীপ সোসাইটির উদ্যোগে মরদেহ দেশে প্রেরণ মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ইন্তেকাল
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিতি মুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম । তিনি শনিবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেল ৪টার দিকে ব্রুকলীনের মাইমোনিডেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নের ডা. আহমেদ উল্লা’র সন্তান। খবর ইউএনএ’র।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের ব্রুকলীন বসবাস করছিলেন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে কিনডি সমস্যা সহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও এক কন্যা সহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।
মরহুমের নামাজে জানাজা রোববার (১৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্রুকলীনের বায়তুল জান্নাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মরদেহ বাংলাদেশে গ্রামের বাড়ীতে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য আবুল কাশেমের মরদেহ সোমবার (১৭ জানুয়ারী) রাতের ফ্লাইটে ঢাকায় প্রেরণ করা হয় বলে সন্ধীপ সোসাইটি ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক এএসএম আলাউদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, মরহুম কাশেমের ফিউনারেল, জানাজা, মরদেহ দেশে পাঠানোর সকল ব্যবস্থাই সন্দ্বীপ সোসাইটির পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
শোক প্রকাশ: আবুল কাশেম-এর ইন্তেকালে সন্ধীপ সোসাইটি ইউএসএ ছাড়াও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী, জেবিবিএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি গিয়াস আহমেদ, জাসাস যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের, চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি কাজী আযম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদ, ফারুক চৌধুরী প্রমুখ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে মরহুমের বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করেছেন।