রসাটমের উদ্যোগে ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির ওপর বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের জন্য প্রশিক্ষণ
নিজস্ব প্রতিনিধি : রুসাটম সার্ভিসের সহযোগিতায় রসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের জন্য সম্প্রতি “ভিভিইআর-১২০০ এর প্রযুক্তিগত দিক এবং ভিভিইআর প্রযুক্তিভিত্তিক পারমাণবিক পাঠ্যক্রমের প্রনয়ন” শীর্ষক দুই সপ্তাহব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মানের সহায়তার অংশ হিসেবে রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম অনলাইনে এই কোর্সে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানী বাংলাদেশ এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী এই কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মান পরিচালক অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বাংলাদেশের পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন কৌশল দূষণমূক্ত এনার্জীর প্রসার, নতুন কর্মসংস্থান এবং দেশের পারমাণবিক শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে”।
রূপপুর এনপিপি নির্মান প্রকল্পের পরিচালক ডঃ শৌকত আকবর তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের বিশেষজ্ঞরা ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর প্রকল্পের আধুনিক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। একই সঙ্গে এর প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক সুবিধা সম্পর্কেও তাদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে”।
রসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি এবং এএসই’র বিশেষজ্ঞরা ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি, এনপিপি-২০০৬ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অপারেশন এবং নিরাপত্তা এবং পারমাণবিক জ্বালানীর প্রকৌশলগত দিক বিষয়গুলোর ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। অংশগ্রহণকারীরা ভিভিইআর রিয়্যাক্টরের সেফটি এসেসমেন্টের জন্য রুশ সিম্যুলেশন কোড, মডেলিং কৌশল, পারমাণবিক শক্তির অর্থনৈতিক এবং তুলনামূলক এসেসমেন্ট, নেস্ট টুল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাবহারিক দিকের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে পারমাণবিক প্রযুক্তি বিষয়ক পাঠক্রম সম্পর্কে বিশেষভাবে জানার সুযোগ লাভ করেন।
রসাটমের শিক্ষা প্রোগ্রামের পরিচালক ভ্যালেরি কারেজিন জানান, “এই কোর্সটি পরমাণু শিক্ষা ট্রান্সফারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একই সঙ্গে বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষজ্ঞদের পদ্ধিতিগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ভিভিইআর প্রযুক্তিভিত্তিক পারমাণবিক এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ পাঠক্রম প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে”। প্রশিক্ষণের শেষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।