হাটের নাম স্বামী-স্ত্রীর হাট, মাঠের নাম খাসির বন্দ

0

সাইফুর নিশাদ , নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদী: স্বামী-স্ত্রী পিঠা বানিয়ে বেচতেন তিন রাস্তার মোড়ে। সেখানে একটা দুটো করে বসে দোকান। চা দোকান, মুদী দোকান, ওষুধের দোকান, ফ্ল্যাক্সি, বিকাশ, সেলুনসহ সব ধরনের দোকান বসতে থাকে একে একে। মোটামুটি একটি গ্রাম্য হাট উপযোগী সব দোকানপাট হয়ে যায়। মানুষের মুখে মুখে নাম ছড়ায় তখন। এভাবেই হয়ে গেলো স্বামী-স্ত্রীর হাট। মাঠে খাসি (ছাগল) ছেড়ে লালন-পালন হতো। এ কারনে শতাব্দী কাল থেকেই নাম হয়ে গেলো খাসির বন্দ।

আনোয়ার এবং নীপা এক ছিন্নমূল দম্পতি। বছর পাঁচেক আগে পেটের তাগিদে মনোহরদীর পশ্চিম চরমান্দালিয়া গ্রামের এক মোড়ে চিতই পিঠে বানিয়ে বেচতে শুরু করেন তারা। পর্যায়ক্রমে একটা দুটো করে স্থায়ী দোকান-ঘর উঠে সেখানে। হয় চা-কফির দোকান,মুদী দোকান, ওষুধের দোকান, ফোন রিচার্জ-বিকাশ, সেলুন এবং কাপড়ের দোকান।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাক সবজী ফলমূলও বেচতে নিয়ে আসেন কেউ কেউ। মাছ বিক্রেতাও আসেন মাঝে মধ্যে তাদের পসরা নিয়ে। খুব আহামরি কিছু নয়। কিন্তু একটি গ্রামীন জনপদের জরুরী প্রয়োজনীয় সব উপকরনের দোকানই আছে এ হাটে। অচিরেই আরো কিছু দোকান হবার কথা চলছে বলে জানালেন স্বামী-স্ত্রীর হাটে উপস্থিত লোকজন। নাম বৈচিত্রের কারনে স্বামী-স্ত্রীর হাট ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।

হাটটির আহামরি কোন বৈশিষ্ট নেই। কিন্তু শুধুমাত্র নাম বৈচিত্রের কারনেই হাটটি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে এলাকায়। হাটটির খোঁজে যাবার সময় এ রকম ধারনাই মিলেছে পথে পথে। পরবর্তীতে দোকানের সাইন বোর্ড ও ঠিকানায়ও জায়গা করে নেয় স্বামী-স্ত্রীর হাট নামটিই।

হাটে উপস্থিত পশ্চিম চর মান্দালিয়া গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা হাজী আঃ রহীম (৯০), নুরুল ইসলাম (৭১) ও এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার মুজিবুর রহমানের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তারা। এ হাটটির অনতিদূরেই চরমান্দালিয়া ও খিদিরপুর সীমানায় রয়েছে একটি ফসলি মাঠ। শতশত খাসি গলায় রশি না বেঁধে ছেড়ে লালন-পালন করা হতো এ মাঠে। হাজী আঃ রহীম (৯০) জানালেন, শতাব্দীকাল আগে থেকে এভাবেই মাঠটি খাসির বন (বন্দ) নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

 

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.