এসডিজি ১৬: কানেকটিং এন্ড এমপাওয়ারিং ভয়েসেস ফর জাস্ট ইনক্লুসিভ এন্ড পিসফুল সোসাইটি
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন ও বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস এর সহায়তায় জিইডি-এর সম্মেলন কক্ষে এসডিজি-১৬: কানেকটিং এন্ড এমপাওয়ারিং ভয়েসেস ফর জাস্ট ইনক্লুসিভ এন্ড পিসফুল সোসাইটি কর্মসূচি নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ প্ল্যানিং কমিশনের মোট ৩০জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ কাউসার আহাম্মদ, সদস্য (সচিব) বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ মফিদুল ইসলাম, প্রধান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব এইচএম বজলুর রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিএনএনআরসি। উপস্থাপনায় তিনি উল্লেখ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত দিক নির্দেশনায় নারী পুরুষ ভেদাভেদ না থাকে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য না থাকে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবেনা এই এসডিজির বিষয়গুলো তিনি আগেই চিন্তা করেছিলেন। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলো জনগণের অংশগ্রহণ। এসডিজি-১৬: কানেকটিং এন্ড এমপাওয়ারিং ভয়েসেস ফর জাস্ট ইনক্লুসিভ এন্ড পিসফুল সোসাইটি কর্মসূচি সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, এসডিজি অর্জন করতে হলে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সকল অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে। অভীষ্ট ১৬ অর্জনে সফল হলে অন্যান্য অভীষ্টসমূহ অর্জন অনেকাংশেই সহজ হবে। ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’ প্রতিটিই উন্নয়নের অন্যান্য সূচকের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। অভীষ্ট ১৬-এর সাথে জড়িত সকল ধারণাগত বিষয়সমূহ বাংলাদেশের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসহ সকলকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে হবে। যেমন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’ করাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় তাহলে বাংলাদেশের সকল মানুষের উন্নয়ন করা সহজ হবে। বাংলাদেশের জন্য এসডিজি ১৬ এর বিভিন্ন লক্ষ্য ও বিষয়গুলোতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা জরুরি। তাই এক্ষেত্রে সময়োপযোগী অগ্রাধিকার ঠিক করার সুযোগ রয়েছে। বিএনএনআরসির এই কর্মসূচি স্থানীয় পর্যায়ে ১৮ টি কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে রেডিও এসডিজি স্থানীয়করণে কাজ করা হচ্ছে এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ মুনিরা বেগম, যুগ্ম প্রধান, মোঃ ফরহাদ সিদ্দিক, যুগ্ম প্রধান, রাহনুমা নাহিদ, উপ প্রধান, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সরকার, উপপ্রধান, মাহবুবুল আলম সিদ্দিকী, উপপ্রধান, ফাহিম আফসান চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী প্রধান, শিমুল সেন, সিনিয়র সহকারী প্রধান, হোসনে আরা বেগম, সিনিয়র সহকারী প্রধান, শামীম মোহাম্মদ বাবর, সহকারী সচিব প্রমুখ।
বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোঃ কাউসার আহাম্মদ, সদস্য (সচিব) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন কমিউনিটি রেডিওগুলো বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী নারী পুরুষ ভেদাভেদ না রেখে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য না করে কাউকে পেছনে ফেলে না রেখে একটি অন্তর্ভুুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গঠনে ভ‚মিকা পালন করে আসছে। তিনি উল্লেখ করেন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলো জনগণের অংশগ্রহণ। এসডিজি অর্জনে আমাদের সব অভীষ্ট নিয়েই কাজ করতে হবে এবং সমন্বিতভাবে এবং সমানভাবে সকলের মাঝে এর সুফল ছড়িয়ে দিতে হবে। কমিউনিটি রেডিও সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে এসডিজির স্থানীয়করণ কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। কমিউনিটি রেডিওর আরো সক্ষম করে তুলতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ক্যাম্পাস রেডিও চালু করাকে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ মফিদুল ইসলাম, প্রধান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন। তিনি বলেন, কমিউনিটি রেডিওগুলো স্থানীয় জনগণের কাছে কর্মকৌশল পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছে। এসডিজি ১৬ অর্জনে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। সকলকে নিয়ে মত বিনিময় করতে হবে। অংশীদারিত্বমূলক পরিকল্পনা ও নীতি তৈরি করতে হবে এবং সেই পরিকল্পনাগুলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আর নতুন নতুন পরিকল্পনার উদ্ভাবন করতে হবে। এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার নিজ নিজ জায়গা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মহোদয়ের একান্ত সচিব মোছাঃ নাদিরা আখতার।