অভিজ্ঞতা বিনিময়-এসডিজি ১৬: কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে মানবাধিকার শিক্ষা দেশের তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব
নিজস্ব প্রতিনিধি : কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে মানবাধিকার শিক্ষা দেশের তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব বলে উল্লেখ করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব নাছিমা বেগম, এনডিসি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস এর সহায়তায় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এসডিজি-১৬: কানেকটিং এন্ড এমপাওয়ারিং ভয়েসেস ফর জাস্ট ইনক্লুসিভ এন্ড পিসফুল সোসাইটি কর্মসূচি নিয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন আমাদের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাব রয়েছে। যে কারণে অনেক সময় তাদের সাথে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনাটির মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে সেটাই তারা বুঝে না। তাই সবার জন্য মানবাধিকার শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন- কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে মানবাধিকার শিক্ষা দেশের প্রত্যন্ত এলাকার তৃণমূল মানুষের কাছে পেীঁছানো সম্ভব। আর এজন্য দেশের ৬৪টি জেলায়ই কমিউনিটি রেডিও স্থাপন ও পরিচালনা করা দরকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেন এবং নারী পুরুষ ভেদাভেদ না থাকে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য না থাকে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবেনা এই এসডিজির বিষয়গুলোর আরো জোরলোভাবে কাজ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলো জনগণের অংশগ্রহণ।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব এ এইচ এম বজলুর রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিএনএনআরসি। উপস্থাপনায় তিনি উল্লেখ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত দিক নির্দেশনায় নারী পুরুষ ভেদাভেদ না থাকে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য না থাকে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবেনা এই এসডিজির বিষয়গুলো তিনি আগেই চিন্তা করেছিলেন। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলো জনগণের অংশগ্রহণ।
এসডিজি-১৬: কানেকটিং এন্ড এমপাওয়ারিং ভয়েসেস ফর জাস্ট ইনক্লুসিভ এন্ড পিসফুল সোসাইটি কর্মসূচি সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি বলেন, এসডিজি অর্জন করতে হলে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সকল অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে। অভীষ্ট ১৬ অর্জনে সফল হলে অন্যান্য অভীষ্টসমূহ অর্জন অনেকাংশেই সহজ হবে। ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’ প্রতিটিই উন্নয়নের অন্যান্য সূচকের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। অভীষ্ট ১৬-এর সাথে জড়িত সকল ধারণাগত বিষয়সমূহ বাংলাদেশের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসহ সকলকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে হবে। যেমন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’ করাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় তাহলে বাংলাদেশের সকল মানুষের উন্নয়ন করা সহজ হবে। বাংলাদেশের জন্য এসডিজি ১৬ এর বিভিন্ন লক্ষ্য ও বিষয়গুলোতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা জরুরি। তাই এক্ষেত্রে সময়োপযোগী অগ্রাধিকার ঠিক করার সুযোগ রয়েছে। বিএনএনআরসির এই কর্মসূচি স্থানীয় পর্যায়ে ১৮ টি কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে রেডিও এসডিজি স্থানীয়করণে কাজ করা হচ্ছে এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিরোধ ও প্রচারণামূলক কার্যক্রমগুলোতে কমিউনিটি রেডিওগুলোকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে সুপারিশ করেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এম. রবিউল ইসলাম, উপপরিচালক, সুস্মিতা পাইক, উপপরিচালক, মোহাম্মদ তৌহিদ খান, সহকারী পরিচালক (আইটি), ফারহানা সাঈদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব, ফারজানা নাজনীন তুলতুল, সহকারী পরিচালক (সমাজসেবা ও কাউন্সেলিং) প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তিনি বলেন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলো জনগণের অংশগ্রহণ। এসডিজি অর্জন করতে হলে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সকল অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে। অভীষ্ট ১৬ অর্জনে সফল হলে অন্যান্য অভীষ্টসমূহ অর্জন অনেকাংশেই সহজ হবে। আর সে কারণেই অভীষ্ট ১৬, শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট মুকুটের ‘মণি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি আরো বলেন, ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’ প্রতিটিই উন্নয়নের অন্যান্য সূচকের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত।
অভীষ্ট ১৬-এর সাথে জড়িত সকল ধারণাগত বিষয়সমূহ বাংলাদেশের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনসহ সকলকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে হবে। যেমন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি ‘শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’ করাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় তাহলে বাংলাদেশের সকল মানুষের উন্নয়ন করা সহজ হবে। বাংলাদেশের জন্য এসডিজি ১৬ এর বিভিন্ন লক্ষ্য ও বিষয়গুলোতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা জরুরি। তাই এক্ষেত্রে সময়োপযোগী অগ্রাধিকার ঠিক করার সুযোগ রয়েছে। এসডিজির ১৭ টি অভীষ্টের ১৬৯ টি সূচকে মধ্যে ১৫৭ তেই মানবাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তাই এগুলো নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।