পাবনায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আওয়ামী লীগ কর্মিকে গুলি করে হত্যা

0

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে নির্বাচনোত্তর পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত বিজয়ী চেয়ারম্যানের লোকজনের গুলিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মিকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

নিহত স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মি শামীম হোসেন (৪০) নাজিরপুর হাটপাড়ার নুর আলী প্রামানিকের ছেলে। পাবনা সদর সার্কেলের এএসপি রোকনুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে খবর পেয়েই পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স হাসপাতালে ছুটে যান, নিহতের আত্মীয়দের সান্ত্বনা দেন এবং ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসন অনুরোধ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাগরিবের নামাজের পর নাজিরপুর হাটপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মধু তার কর্মি সমর্থকদের সাথে নিয়ে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিলু খা ও তার ছেলে ইমরান জামায়াত ও শিবিরের বেশকিছু লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত এলোপাথারী গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে শামীম হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মধু জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারিকুল ইসলাম খান ও তার ছেলে ইমরান হোসেন জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত জাহাঙ্গীর আলম খান ওরফে আলম হাজী সমর্থিত জামাত শিবিরের সশস্ত্র কর্মিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে। এ সময় আমার সামনে থাকা কর্মি শামীম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। এলোপাথাড়ি গুলিতে আমিও মাটিতে শুয়ে পড়ি জন্য প্রাণে রক্ষা পাই।

স্থানীয়রা জানান, ২৬ ডিসেম্বর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নির্বাচন চলাকালে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকরা বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ক্ষোব থেকে যায়। নির্বাচন কেন্দ্রীয় ঘটনাকে পুজি করেই বিজয়ী চেয়ারম্যানের লোকজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাথে নিয়ে এই নাশকতামূলক হামলা চালায়।

এ ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খান ওরফে আলম হাজী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারিকুল ইসলাম নিলুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা দুজনেই ফোন রিসিভ করেননি।

পাবনা সদর সার্কেলের এএসপি রোকনুজ্জামান জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শক করেছে। গুলিবিদ্ধ শামীমকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.