বহুল কাঙ্খিত রাঙ্গামাটির চেঙ্গী সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

মাহফুজ আলম, নিজস্ব প্রতিনিধি কাপ্তাই ( রাঙামাটি) : কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদ নির্মিত হওয়ার ৬০ বছর পর দীর্ঘদিনের কাক্ষিত চেঙ্গী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে রাঙামাটির নানিায়ারচর চেঙ্গী সেতু প্রান্তে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পরই যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সেতুটি।

রাঙামাটি-নানিয়ারচর সড়কে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত ‘চেঙ্গী সেতু’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, কক্সবাজার ১ আসনের এমপি সাইমুম সোরোয়ার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সাইফুর রহমান এনডিসি এফ ডব্লিউসি, পিএসসি, মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন, এনডিসি, পিএসসি, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন চট্টগ্রাম, বিএ-৩৪৮১ মেঃ জেঃ মোহাম্মদ ফখরুল আহসান, বিএসপি,এনডিইউ,পিএসসি, জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন রামু কক্সবাজার, বিএ-৪৭৭৬ ব্রিঃ জেঃ মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন এনডিসি, পিএসসি, ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা, বিএ- ৪৯০১ ব্রিঃ জেঃ মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসি ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনট্রাকশন ইষ্ট ব্রিগেড কমান্ডার চট্টগ্রাম, বিএ-৫৫০৯ কর্ণেল খন্দকার তারিকুল ইসলাম এফ ডাব্লিউ সি, পিএসসি , কর্ণেল জিএস, ডিজিএফআই রাঙামাটি, ডেড কমান্ডার, বিএ-৫১৬৩ কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এস ইউপি, এ এফ ডাব্লিউ সি, পিএসসি, এডিজি ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ইষ্ট ব্রিগেড কমান্ডার চট্টগ্রাম, বিএ ৬৫০০ লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন দিদার পিএসসি, অধিনায়ক ২০ ইসিবি ডবলমুড়ি চট্টগ্রাম, নানিয়ারচর আর্মি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সিও) রুবাইয়াত হুসাইন পি এস সি, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ আরো অনেকেই।

জানা যায় সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটেলিয়ান (ইসিবি) ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচরের চেঙ্গী নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২ মিটার প্রস্থের এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন একটি সেতুর অভাবে যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হতো কয়েক লাখ মানুষকে। সেতুটি চালু হওয়ায় দীর্ঘদিনের যোগাযোগে ভোগান্তি কমলো। সেতু উন্মুক্ত হওয়ায় পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.