‘সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে’

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সীমান্তের ওপারে যারা থাকেন তাদের সঙ্গে এপারের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের নানা কাজে সুসম্পর্ক থাকে। হয়তো মনের টানে নিজের অজান্তে অনেকে সীমানা অতিক্রম করে ফেলেন। হয়তো অনেকে যেটা করা উচিত নয় সেটাও করে ফেলেন। এ জন্য মাঝে মাঝে দুই-একটি ঘটনা ঘটে যায়।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নে ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে র‌্যাব-১৩ এর আয়োজনে এক হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অকারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়নি। তারা হামলা, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল বলেই মামলা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। সীমান্তের ওপারে যারা থাকেন তাদের সঙ্গে এপারের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের নানা কাজে সুসম্পর্ক থাকে। হয়তো মনের টানে নিজের অজান্তে অনেকে সীমানা অতিক্রম করে ফেলেন। হয়তো অনেকে যেটা করা উচিত নয় সেটাও করে ফেলেন। এ জন্য মাঝে মাঝে দুই-একটি ঘটনা ঘটে যায়।

সীমান্তে হত্যা বন্ধে গৃহীত উদ্যোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এবং বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে এবং প্রাণঘাতী আর্মস ব্যবহার করা হবে না। এসব ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সবাই আন্তরিক।

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনাহূত কারণে মামলা দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অনাহূত কারণ কাকে বলে আমি সেটা জানি না। যখন ভাঙচুর হয়, জীবননাশ হয়, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, তখন এসব মামলা হয়।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- মো. জাকির হোসেন এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় সংসদ সদস্য কুড়িগ্রাম-৪, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ মো. আসলাম হোসেন সওদাগর এমপি, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মো. পনির আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ এম এ মতিন, অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম, পিপিএম, ডিজি, র‌্যাব ফোর্সেস, কর্নেল কে এম আজাদ, বিপিএম, পিএসসি, এডিজি (অপস্), র‌্যাব ফোর্সেস, রংপুর বিভাগের ও কুড়িগ্রাম জেলার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অধিনায়ক, র‌্যাব-১৩, রংপুর ও অন্যান্য অফিসারগণ।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.