বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য যা করতে পারে তা করতে প্রতিশ্রুতিবন্ধ রয়েছে -ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে পাবনা পৌরসভাকে দেয়া হয়েছে জীবন রক্ষাকারী (লাইফ সাপোর্ট) একটি অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে পৌরসভা চত্বরে এই অ্যাম্বলেন্সটি পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধানের হাতে তুলে দেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি।

পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একুশে পদক প্রাপ্ত দেশবরেণ্য লেখক ও সাংবাদিক ভাষা সৈনিক রণেশ মৈত্র, নাগরিক মঞ্চের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বিশ্বাস, প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাষ্টারসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আধুনিক, জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি সম্বলিত লাইফ সার্পোটের অ্যম্বুলেন্সটি জরুরী চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাবার পথে রোগীদের মানসম্মত জরুরী সেবা এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট এর জন্য উপযোগী। এই অ্যাম্বুলেন্সটি ১০৯ টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহের সামগ্রীক কর্মসূচির অংশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১ সালের মার্চ মাসে তার বাংলাদেশ সফরের সময়ে ঘোষনা করেছিলেন।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্ন উপায়ে যেমন পিপিই, কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেষ্টিং কিট, ভ্যাকসিন সরবরাহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি কর্মশালার মাধ্যমে সহায়তা করেছে। এ বছরের শুরুর দিকে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ভারতের সাহায্যের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশও দিয়েছিলো। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে, জনস্বাস্থ্য ও জনগনের কল্যাণের উন্নতি সাধনে ভারত তার সামর্থ্য সীমার মাঝে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য যা করতে পারে তা করতে প্রতিশ্রুতিবন্ধ রয়েছে।

পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান তার বক্তব্যে পাবনা পৌরসভাতে এই অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের জন্য ভারত সরকার, সহকারী হাই কমিশনারসহ ভারতের সাধারন মানুষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে সহযোগিতা তা এদেশের মানুষ এখনও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। জনকল্যাণে পাবনা পৌরবাসীর কল্যাণে ভারতের উপহার এই অ্যাম্বুলেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। একই সাথে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের ভিত্তিতে আগামী দিনে পাবনা পৌরসভাকে অধিকতর সুন্দর করে গড়ে তোলা হবে বলে বক্তব্যে জানান পৌর মেয়র।