দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় কাপ্তাইয়ের এক গম্বুজের উপর নির্মিত মসজিদটি স্থাপত্যের অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে

0

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই রাঙামাটি : কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপিত জামে মসজিদটি সম্ভবত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। আধুনিক যুগে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে মনমুগ্ধকর মসজিদটি। নজরকাড়া নকশায় নির্মিত এই মসজিদটি বাংলাদেশের আধুনিক নির্মাণশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন।স্থাপনাটি কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় অবস্থিত। পর্যটন এলাকা খ্যাত কাপ্তাইয়ে যখনি বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন পর্যটকরা বেড়াতে আসলেই অসংখ্য দর্শনার্থী এই মসজিদটি দেখতে পিডিবি কর্তৃপক্ষের নিকট আসতে দেখা যায়। মসজিদটির গম্বুজ বা শুধু নকশাতেই নয়, এই মসজিদের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দর্শনার্থীরা জানান, বাংলাদেশের আর কোনো মসজিদে এটি দেখা যায় না।

এই মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল মসজিদটির স্থপতি একটি বাংলাদেশী স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের দ্বারা ডিজাইন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মসজিদটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, সেখানে ইবাদত করতে আসা মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরে বসে রোদ, বৃষ্টি ও কুয়াশার দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। কারণ এই মসজিদটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে গরম আবহাওয়ায় মসজিদকে শীতল করার জন্য এর ভিতরে রয়েছে শীতল পাথর দিয়ে তৈরী এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটিকে গরমকালে শীতল রাখে।

এর দুপাশে রয়েছে প্রাকৃতিক বন ও নদীর শীতল জলাধার। মুসল্লিদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা তৈরি করতে মসজিদটিতে মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক আলো রয়েছে। পুরো মসজিদের দেয়াল বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় পুরো দেয়ালটি ইটের তৈরি। পুরো মসজিদে একসঙ্গে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। বিউবো জামে মসজিদ নিয়মিত নামাজের পাশাপাশি ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহার করারও উপযুক্ত স্থান।

স্হানীয়দের মতে এই স্থাপনাটি গত ৬০ বছরে বাংলাদেশে নির্মিত বিরল স্থাপত্যের একটি। জানা যায় তৎকালীন সময়ে এ অপরুপ মসজিদটির নির্মাণে ঠিকাদার ছিলেন আমির হামজা নামের এক ব্যক্তি। সুন্দর মসজিদ দেখতে এসেছেন রুবেল হোসেন, কামাল হাকিম, মো. আক্তার আলম, জাবেদ হোসেন ও বেলাল হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে মসজিদটি দেখতে আসি। আধুনিক যুগে তৈরি এমন স্থাপনা আগে কখনো দেখা যায়নি। স্থাপনাগুলোর কারুকার্য ও নির্মাণশৈলী দেখতে চোখ ধাঁধানো। সাধারণত মুঘল স্থাপনা এই ধরনের নকশা দিয়ে নির্মিত হযেছিল। এব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাপ্তাই ব্যাবস্হাপক প্রকৌশলী আব্দুরজ্জাহের বলেন ১৯৫৩ সালে শীতল পাথর দিয়ে তৈরি কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপিত জামে মসজিদটি সম্ভবত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ, দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য ও স্থাপত্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে কাপ্তাইয়ের মনোমুগ্ধকর মসজিদটি।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.