সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের প্রতারক মাও. আব্দুল মান্নান ও তার ভাইপো খালিদ কর্তৃক রেকর্ডীয় সম্পত্তি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0

রিজাউল করিম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের আতিয়া জামে মসজিদের পূর্ব পাশে প্রতারক মাওলানা আব্দুল মান্নান ও তার ভাইপো অহিদুজ্জামান খালিদ কর্তৃক রেকর্ডীয় সম্পত্তি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত তোজাম্মেল হকের স্ত্রী ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী তোজাম্মেল হক ১৯৭৯ ও ১৯৮৪ সালে পলাশপোল, রসুলপুর ও কাশেমপুর মৌজায় এসএ রেকর্ডীয় জমির মালিক আব্দুল জব্বারের দুই পুত্র রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল অদুদ এবং তার দুই ভাই আব্দুল গফফার ও আব্দুস সাত্তারের নিকট থেকে ১৫০১, ১১০১৫, ১১০১৬, ১১০৬১, ১১০১৮, ১১১৪৭, ১১০৬২, ১১০৬৭, ৪৯৪৯, ৪৯৪৮ ও ৬০৮৪ সহ মোট ১১ টি দাগে ১২১ শতক জমি ক্রয় করেন। পরে তিনি এই জমি নিজ নামে রেকর্ড করেন। যার খতিয়ান নং-২৬৫১/৪, হোল্ডিং নং-৪৭৪৯। এই ১২১ শতক জমির মধ্যে তিনি বিভিন্ন সময় মোট ৮৭ শতক জমি বিক্রয় করেন।

এরপর ২০০৫ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর বাকী ৩৪ শতক জমি আমিসহ তার ওয়ারেশ মামুনুল হক গং প্রাপ্ত হন। এরপর সবাই নিজ নামে রেকর্ড করেন এবং হাল নাগাদ খাজনাও পরিশোধ করে ভোগ দখলে রাখেন। যার রেকর্ড খতিয়ান নং-৩৮১৩, হোল্ডিং নং-১৬৫৯। উপরোক্ত দাগের মধ্যে ১১০১৮ দাগে রেকর্ডীয় অপর মালিক আব্দুল বারীর ১৭ শতক জমি রয়েছে। এই জমি ১৯৯৬ সালে তার পুত্র মাজেদ সরদার জনৈক মোস্তফা জামানের কাছে বিক্রয় করে তিনি নিঃস্বর্ত্ব হন। অথচ ওই একই জমি থেকে ২০০৬ সালে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিম উদ্দিনের পুত্র মাও. আব্দুল মান্নান ও তার ভাইপো অহিদুজ্জামান খালিদ তার কাছ থেকে ১৩.৩৩ শতক জমি ক্রয় করেন। যা তারা পারিবারিক আন রেজিস্ট্রি বন্টন নামা ও জাল রেকর্ড সৃষ্টি মূলে ক্রয় করেন। এরপর তারা সেখানে রাতারাতি পাঁচিল দিয়ে ওই একই দাগে আমাদের ১১.৬৬ শতক জমিসহ মোট ১৪ শতক জমি দখলে নেন। অথচ এই জমি নিয়ে কয়েকদফায় পৌরসভা ও থানায় শালিসি বৈঠকে তারা কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। থানা কর্তৃপক্ষ জিপির মতামত চান।

জিপির মতামতে আমাদের কিছুটা ক্ষতি হলেও শান্তিপূর্ণ সমাধানের স্বার্থে সে মতামত আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু মাও. আব্দুল মান্নান ও তার ভাইপো জিপির মতামত না মেনে উল্টো এই জমি নিয়ে তারা গত ৬ জানুয়ারী আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আদালত উক্ত মামলায় ৩ ফেব্রয়ারী আমাদের কাগজ পত্র জমাদানের জন্য সমন জারী করেন এবং ওই সময় পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারী করেন। আমরা যথারিতী আমাদের উকিলের মাধ্যমে ওই দিন জবাব দাখিলসহ আমাদের স্বপক্ষের যাবতীয় কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। উক্ত জমির অনলাইন খাঁজনা দেয়ার রশিদসহ সকল প্রকার বৈধ কাগজ পত্র আমাদের থাকার শর্তেও প্রতারণা, জালিয়াতি ও অবৈধ টাকার জোরে মাওলানা আব্দুল মান্নান ও তার ভাইপো অহিদুজ্জামান খালিদ এই জমি জবরদখল করে প্রকৃত মালিকদের হয়রানি করছেন। তিনি আরো বলেন, মাওলানা আব্দুল মান্নান সম্প্রতি সংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে আমাদের নামে একটি সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় প্রতারক ও মামলাবাজ মাও. আব্দুল মান্নান ও তার ভাইপো অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.