নেত্রকোনায় এগিয়ে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ

0

বিশেষ প্রতিনিধি : আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢলের হাত থেকে নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলের ফসল রক্ষার লক্ষ্যে পিআইসির মাধ্যমে ডুবন্ত বাঁধের নির্মাণ কাজ দ্রম্নতগতিতে এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষের আশাবাদ, পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যার পানি আসার আগেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ সব বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

জেলা পাউবো সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর আকস্মিক পাহাড়ি ঢল বা আগাম বন্যায় হাওড়াঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। হাওড়াঞ্চলের ফসল রক্ষায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে ৯ উপজেলার ৯টি হাওড়ে ২৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭৫টি পিআইসির মাধ্যমে ১৮৩ কিলোমিটার ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পিআইসি গঠনের মাধ্যমে বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২৮ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ দ্রম্নত এগিয়ে চলছে। এরমধ্যে খালিয়াজুরী উপজেলাতেই ৬২টি ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বোরো ধান কৃষকরা আবাদ করেছেন। হাওড়াঞ্চলেই ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।

খালিয়াজুরী উপজেলার ইছাপুর গ্রামের কৃষক সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, হাওড়াঞ্চলের কৃষকদের সারা বছরের একমাত্র ফসল হচ্ছে বোরো ধান। প্রতি বছর আগাম বন্যায় হাওড়ের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। বোয়ালী গ্রামের আবুল কালাম জানান, প্রতি বছর মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে চাষাবাদ করেন। জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এবং জেলা পিআইসি কমিটির সদস্য সচিব এমএল সৈকত বলেন, প্রায় প্রতিদিন সরেজমিনে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোথাও কোনো অনিয়ম বা ত্রম্নটি দেখা গেলে পিআইসিকে দ্রম্নত সে সব সারিয়ে ফেলার নির্দেশ দিচ্ছেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.