৯ প্রতিষ্ঠান পেল এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনীতিতে টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ৯ কম্পানি। দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশের দ্বিতীয় আয়োজনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়। রবিবার ঢাকার হোটেল র্যাডিসনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিক্সন, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এইচএসবিসি, সাউথ ও সাউথ ইস্ট এশিয়ার হেড অফ কমাশির্য়াল ব্যাংকিং এ্যামান্ডা মারফি, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান, এইচএসবিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অফ হোলসেল ব্যাংকিং কেভিন গ্রীণ।
টিপু মুনশি বলেন, দেশের অগ্রগতিতে ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। আগামীতে ২০৩০ ও ২০৪১ সালের যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সেক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার বেশি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সরবার্ট চ্যাটারসন ডিক্সন বলেন, করোনার কারণে পুরো বিশ্বে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা সেই চ্যালেঞ্জকে আরো বড় করে তুলেছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা মহামারি চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছে। এই অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য তাদের স্বীকৃতি দিয়ে উৎসাহিত করতে পেরে তারা গর্বিত।
এবার তৈরি পোশাক শিল্পে এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে প্যাসিফিক জিন্স। প্রতিষ্ঠানটি ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি করছে। সাপ্লাই চেইন এবং ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। এই প্রতিষ্ঠান দেশে প্রথম রোপ ডায়িং প্রযুক্তির ব্যবহারকারী। অসনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্রে এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। বিশ্বের ১৪৫টি দেশে প্রতিষ্ঠানটি পণ্য বিপণন করছে। আমদানি-বিকল্প শিল্পে অবদান রাখায় পুরস্কৃত হয়েছে হাতিল কমপ্লেক্স। আসবাবপত্র খাতে এ ব্র্যান্ড অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে সুনাম কুড়িয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখায় অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সামিট কর্পোরেশন। সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান।
সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মালেক স্পিনিং গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠান প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে পোশাক তৈরির জন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরির মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব টেকসই ব্যবস্থা নিয়েছে। নতুন প্রযুক্তি প্রণয়নে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাইবিট লিমিটেড। বাংলাদেশ এবং তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি নিয়ে আসার জন্য বাইবিট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্পেশাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। এছাড়া জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সুরক্ষা অ্যাপ।