বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের যাত্রা শুরু ২০ জুলাই

0

বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সমন্বিতভাবেই তাদের কাজ যাচ্ছে, এতে করে কারও ক্ষমতা খর্বের বিষয় নয়। শুধুমাত্র সনদ দেওয়ার দায়িত্বটি আমাদের।

বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৭ সালে পাশ করা হলেও ২০১৮ সালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কার্যালয় ও লোকবলের অভাবে আমরা ৮ মাস কাজ করতে পারিনি। এর কিছুদিন পর করোনা শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজে অনেকটা ব্যত্যয় ঘটেছে। তবে আমাদের গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের কোনো কাজেই সময়মতো দ্রুত হয় না। তিনি বলেন, ‘আর্থসামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যদি কেউ (প্রতিষ্ঠান) ক্যাটাগরি ভিত্তিক শর্ত পূরণ করতে পারে সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে সনদ দিতে পারব। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা বাধ্যতামূলক করতে পারি না, যদি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে শর্ত পূরণ করে আবেদন করা হয় সেক্ষেত্রে আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করে সনদ দিতে পারি।’

সোমবার (১৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। বাংলাদেশে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে ডক্টর মেজবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশে যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া আছে তাদের অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নাই, জনবল নাই, অনেক ক্ষেত্রেই ঘাটতি আছে। তারপরও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের বিপক্ষে নই। আমরা চাই অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাপেক্ষে শর্ত পূরণ করে শিক্ষার মান উন্নয়নে আরও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে।

দেশের জনসংখ্যার বিবেচনায় আরও বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুণগত মানের মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়-প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েটদের সুসংহত ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে পরিচালিত একাডেমিক প্রোগ্রাম এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রিডিটেশন প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি) কার্যক্রম শুরু করেছে।

অ্যাক্রিডিটেশন কার্যক্রম বিষয়ে অংশীজনদের উদ্বুদ্ধকরণ ও উচ্চ শিক্ষায় গুণগত মান নিশ্চিতকরণের অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিগত বছরগুলোতে কাউন্সিল আয়োজিত মোট ১১৯ টি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৫৪৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলর আইন ২০১৭ এর উদ্দেশে পূরণকল্পে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে অ্যাক্রিডিটেশন সংক্রান্ত বিধিমালা, অ্যাক্রিডিটেশন সংক্রান্ত সাধারণ নীতিমালা স্বার্থগত দ্বন্দ্ব ও গোপনীয়তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালা, অ্যাক্রিডিটেশন ও নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল উন্নত দেশের আলোকে দেশে-বিদেশে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ও আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় উপযুক্ত একটি পদ্ধতি অনুসরণ করবে। এইসব বিধি ব্যবস্থা অবশ্যই ভবিষ্যতে প্রয়োজন ও বাস্তবতার নিরিখে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হতে পারে।

উচ্চ শিক্ষায় অ্যাক্রিডিটেশন কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। ইতিমধ্যে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল ৩০ জন কোয়ালিটি অ্যাসু‌রেন্স (কিউএ) প্রফেশনালস নির্বাচন করেছে। এ সকল কিছু প্রফেশনাল অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি ও কাউন্সিলের অনুমান কাজে সহযোগিতা করবেন। অদূর ভবিষ্যতে অ্যাক্রিডিটেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে আরও বহুসংখ্যক কোয়ালিটি অ্যাসু‌রেন্স প্রফেশনালস প্রয়োজন হবে।

 

আগামী ২০ জুলাই বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বিষয়ক সম্মেলন ও অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করা হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দিক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড দিল আফরোজ বেগম।

অ্যাক্রেডিটেশনের শর্ত পূরণ করে সনদ পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একদিকে যেমন শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হবে, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র্যাং কিংয়েও এগিয়ে থাকবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর উচ্চশিক্ষা স্তরে পাঠদান করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন কাঠামোর মধ্যে আনলে দায়সারা পাঠদান করে সার্টিফিকেট দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তাদের দিক থেকে শিক্ষার্থীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসম্মত শিক্ষা দেবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন সনদ যথাযথমানের স্বীকৃতি। যে কোর্স বা প্রোগ্রাম অথবা বিশ্ববিদ্যালয় এ স্বীকৃতি পাবে সেটির পড়াশোনা, পাঠদান পদ্ধতিও মানসম্মত বলে বিবেচিত হবে। দেশের উচ্চশিক্ষা সেক্টরকে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে আওতায় আনাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
তথ্যমতে, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৭ এর অধীনে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আইনটি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হয় এবং রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও পূর্ণকালীন সদস্যগণের নিয়োগ সম্পন্ন হয়।

বিএসির সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত পরিবর্তনশীল এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্ব-অর্থনীতিতে যেকোনো দেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অনেকাংশে জ্ঞান, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা জ্ঞান, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতার ভিত্তি রচনা করে। তাই ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রমসমূহ অ্যাক্রেডিট করতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। এ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আন্তর্জাতিক কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স নেটওয়ার্কের সাথে সহযোগিতা ও সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রমের মানদণ্ড নির্ধারণ করবে। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য আবেদনে আগ্রহী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী ইনস্টিটিউট/অনুষদ/বিভাগকে পূরণ করতে হবে বেশ কিছু শর্ত। এগুলো হলো-বাংলাদেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ একাডেমিক প্রোগ্রাম অনুমোদিত হতে হবে; উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ব্যবস্থাপনার জন্য একটি স্থায়ী ও কার্যকর ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (IQAC) থাকতে হবে; উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রামকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৭ এর ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী প্রণীত ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে হবে।

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক প্রোগ্রাম স্নাতক এবং/অথবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের হতে হবে; অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য আবেদনের দুই বছর আগে সংশ্লিষ্ট একাডেমিক প্রোগ্রামের অধীনে কমপক্ষে একটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদানের কার্যক্রম সম্পন্ন হতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাক্রেডিটেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ২০% একাডেমিক প্রোগ্রাম কাউন্সিল কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন প্রাপ্ত হতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত একাডেমিক প্রোগ্রামের সংখ্যা ন্যূনতম তিনটি হতে হবে; প্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলের শর্তাবলি ও মানদণ্ড পূরণসহ তার অভিলক্ষ্য পূরণের উপযোগী অবকাঠামোগত সুবিধাবলি, উপযুক্ত মানবসম্পদ ও পর্যাপ্ত আর্থিক সম্পদ সংস্থানের কৌশলগত পরিকল্পনা থাকতে হবে।

অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য আবেদনের তারিখ হতে অনধিক এক বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী সত্তাকে কাউন্সিলের স্ব-নিরূপণ নির্দেশিকা অনুসরণে স্ব নিরূপণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পেতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের নির্ধারিত ফিস পূরণ করে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। আবেদনের সঙ্গে কাউন্সিলের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিলাদি দাখিল করতে হবে। আবেদন দাখিলের পর কাউন্সিল আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ হয়েছে কি না এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে কি না তা যাচাই করবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক থাকলে শুরু হবে পরবর্তী কার্যক্রম আর কোনো অসঙ্গতি থাকলে কাউন্সিল আবেদনপত্র প্রত্যাখান বা বাতিল করতে পারবে।

এরপর বিধিমালা অনুসরণে কাউন্সিল একটি অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি গঠন করবে। তিন সদস্যবিশিষ্ট বিএসির বিশেষজ্ঞ কমিটিতে একজন প্রধান ও দুজন সদস্য থাকবেন। একাডেমিক প্রোগ্রাম অ্যাক্রেডিটেশনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক প্রোগ্রাম অ্যাক্রেডিটেশন কমিটির প্রধান হবেন। একই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক কমিটির সদস্য হবেন। পরিদর্শনকালে অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশকিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে। এসবের মধ্যে রয়েছে- পাঠদান ও শিখন পদ্ধতি মূল্যায়ন ব্যবস্থা; অ্যাসাইনমেন্ট, প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র পর্যালোচনা পদ্ধতি; গবেষণা পদ্ধতি; পাঠদানের পরিবেশ; বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী; কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের বিভিন্ন বিষয়; অ্যাক্রেডিটেশনের মানদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরাজমান পরিস্থিতি ইত্যাদি। পরিদর্শন শেষে অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি কাউন্সিলের মানদণ্ড অনুযায়ী গুণগত মান নিরূপণ করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। কাউন্সিল সভায় অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানসংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

অ্যাক্রেডিটেশন বিধিমালা অনুযায়ী, নির্ধারিত স্কোরের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি স্কোর পেলে কোনো প্রোগ্রাম বা বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট দেয়া হবে। ৬০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ স্কোর পেলে দেয়া হবে কনফিডেন্স সার্টিফিকেট। তবে ৬০ শতাংশের কম নম্বর পেলে কোনো সার্টিফিকেট দেয়া হবে না। কনফিডেন্স সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় অ্যাক্রেডিটেশন মানদণ্ড ও শর্তাবলি পূরণ করতে পারলে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট পাবে।
অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেটের মেয়াদ ইস্যুর তারিখ হতে পাঁচ বছর। নির্দিষ্ট সময় পর আবার এই সনদ নিতে হবে। তবে কনফিডেন্স সার্টিফিকেটের মেয়াদ ইস্যুর তারিখ হতে সর্বোচ্চ এক বছর। কনফিডেন্স সার্টিফিকেট কোনোভাবেই নবায়ন করা যাবে না। অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট পাওয়া উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/একাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালনায় মানদণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটালে কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি নির্দিষ্ট কারণে অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট/ কনফিডেন্স সার্টিফিকেটের বৈধতা স্থগিত করতে পারবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.