‘শেখ হাসিনা: এ ট্রু লিজেন্ড’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র সবার জন্য উন্মুক
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬ তম জন্মবার্ষিকী। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ঘিরে প্রামাণ্যচিত্র ‘শেখ হাসিনা- অ্যা ট্রু লিজেন্ড’ উন্মুক্ত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বৈষ্টমী।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বৈষ্টমীর ইউটিউব পেজে প্রামাণ্যচিত্রটি উন্মুক্ত করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন আয়শা এরিন। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বৈষ্টমীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও। প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণে সহযোগিতা করেছেন কে এইচ এন রিসার্চ টিম (বাংলাদেশ), ডিডি রিসার্চ (ইউরোপভিত্তিক) ও আইডিয়াল থিংকারস অ্যাসোসিয়েশন।
আয়শা এরিন বলেন, ‘আসছে ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। আমরা বৈষ্টমী পরিবার মনে করছি, তার জন্মদিন ঘিরে জনমনে উচ্ছ্বাস থাকুক। বাংলাদেশ গর্বিত হোক এই মনে করে যে, আমাদের একজন বিশ্বসেরা পর্যায়ের কিংবদন্তিতুল্য নেতা রয়েছেন।’
প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির পরিচালক জানান, প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটিতে বিদেশি গণমাধ্যম যেভাবে শেখ হাসিনার জীবন পরিক্রমাকে দেখে, তা স্থান পেয়েছে। একজন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে গবেষণা করে তাঁর রাজনীতিক হতে পারা এবং শাসক হতে পারার কী কী গুণাবলি চরিত্র নিয়ে অদম্য সত্তা হতে পেরেছেন, তা জায়গা করে নিয়েছে।
ইতিহাসের ক্ষণজন্মা দার্শনিকদের মতবাদ ঘিরে তার রাজনৈতিক জীবনের পথ বিস্তৃত কিনা, তা দেখতে চলচ্চিত্রটি দেখতে হবে বলে মনে করছেন নির্মাতা এরিন। শেখ হাসিনা সম্পর্কে ধারাভাষ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও চুজি থাকা হয়েছে। বাংলাদেশের এমন একজন বিদগ্ধজাতের রাজনৈতিক চরিত্রকে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনার ওপর বর্ণনা করার জন্য রাখা হয়েছে, যার ব্যক্তি ইমেজ সবার কাছে নন্দিত পর্যায়ে রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্লিন ইমেজের এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন তার বয়ানে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের ব্যাখাও করেছেন।
আয়শা এরিন জানান, চলচ্চিত্রটির শুটিং করা হয়েছে ইউরোপ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকেশনে। ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি সারাদেশের অন্তন্ত ৮ কোটি মানুষ দেখতে পারলে আমরা সার্থক হব বলে মনে করছি।
প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটিতে আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নবান্ন ব্যান্ড, কে এইচ এন টিউন। এ ছাড়াও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও কৃষ্ণকলির জনপ্রিয় দুইটা গান স্থান নিয়েছে। দুইটি কবিতা জায়গা পেয়েছে। সম্পাদনায় জনি গোমেজ। সিনেমাটগ্রাফার হিসাবে কেএইচএন, দুলিও (ডেনমার্ক), মোহাম্মদ রফিক ও সারাহ কাজ করেছেন।
নির্মাতা আয়শা এরিন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে প্রজন্মের কাছে কিংবা অনাগত প্রজন্মের জন্য তুলে ধরার জন্যই এই প্রয়াস। খুবই স্বল্প বাজেটে তথা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের জন্য এই কাজটি করতে পেরেছি বলে বৈষ্টমী পরিবার আনন্দিত।’
উল্লেখ্য, বৈষ্টমী এ পর্যন্ত ‘শিল্পীসত্তা’, ‘ফিল্ম নাইট থার্টি ফার্স্ট’, ‘যিশু এসেছিল, আসবেন’ শর্টফিল্মগুলো টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছিল। এ ছাড়াও আগামী বছরের শুরুতে মুভি অব দ্য প্ল্যানেট ‘লিলিথ’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। যা ১৮টি দেশে শ্যুট করে এখন সম্পাদনার টেবিলে রয়েছে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ইত্তেফাক ও মানিক মিয়াকে নিয়ে ‘আয়রনম্যান’ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেও প্রশংসা কুড়িয়েছিল বৈষ্টমী।
এ ছাড়াও ‘সুবর্ণ রেখায় চাঁদ ও তারা’, ‘শ্রমিকের জান’, ‘জার্নি’, ‘ফুটবল’, স্বর্গীয় নগরসহ প্রায় ১১টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।