মোংলা বন্দরে খালাস হলো আমদানি করা ৪২ হাজার টন গম
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : রাশিয়া থেকে আমদানি করা গম নিয়ে মোংলা বন্দরে আসা শেষ দুটি বিদেশি জাহাজ থেকে সব গম খালাস করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে গম নিয়ে মাল্টার পতাকাবাহী এমভি শ্রিলাক গত ২৩ অক্টোবর এবং লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি লিলা ৮ নভেম্বর মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছে। আজ শনিবার এ দুটি জাহাজ থেকে ৪২ হাজার টন গম খালাস সম্পন্ন হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, এর মধ্যেই বিদেশি ১০টি জাহাজে করে ৫ লাখ টন গম আনা হচ্ছে রাশিয়া থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় জিটুজি চুক্তি মোতাবেক ৪২ হাজার টন গম নিয়ে মোংলা বন্দরে ওই দুটি জাহাজ আসে। গমের আরও একটি চালান আগামী সপ্তাহে নিয়ে আসবে একটি বিদেশি জাহাজ। প্রতি টন গম ৪৩০ ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। এসব গম বাজারে এলে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গমবাহী বিদেশি জাহাজের শিপিং এজেন্টের ব্যবস্থাপক মোহম্মদ এরফান বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী ৫ লাখ টন গম আমদানি করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় মোংলা বন্দরে ৪০ শতাংশ ও চট্টগ্রাম বন্দরে ৬০ শতাংশ গম খালাস হচ্ছে।
মোংলা সাইলো (সরকারি খাদ্যগুদাম) সুপার অরূপ কুমার মিশ্র বলেন, ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে আমদানি হওয়া গমের অর্ধেকেরও বেশি এসেছিল ভারত ও বুলগেরিয়া থেকে। তবে ভারতীয় গম আমদানি কিছুদিন বন্ধ থাকায় পুনরায় সংকট দেখা দেয়। এখন ইউক্রেন থেকে গম না এলেও রাশিয়া থেকে প্রচুর গম আসছে। তাই দেশে গমের সংকট হবে না। মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া গম প্রথমে মোংলা সাইলোতে মজুত করে রাখা হয়। এখান থেকে নদীপথে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই গম সরবরাহ করা হয়। এই মুহূর্তে মোংলা সাইলোতে ৪৫ হাজার টন গম মজুত রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, চলতি বছরের ৬ মার্চ ভারত থেকে এমভি বাল্ক ম্যানারা, ১ জুন এমভি ইমানুল, ২৩ অক্টোবর রাশিয়া থেকে এমভি শ্রিলাক এবং ৮ নভেম্বর এমভি লিলা নামের বিদেশি জাহাজে করে মোংলা বন্দরে গম আমদানি হয়েছে। বন্দরের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এই গম খালাস করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু গম নয়, যেকোনো পণ্য খালাস করতে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা রয়েছে।
দেশে গমের চাহিদা রয়েছে বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন, যার ৬৫ লাখ টনই আমদানিনির্ভর। এগুলো আসে ভারত, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। এ বছরের ১১ মাসে ৮৪ হাজার টন গম মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে ৪টি বিদেশি জাহাজের মাধ্যমে। এর আইরে আরও ৫ লাখ টন গম আমদানি করা হচ্ছে রাশিয়া থেকে।