মুক্তিযোদ্ধাদের মেট্রোরেলে ভাড়া লাগবে না

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন,  মুক্তিযোদ্ধাদের মেট্রোরেলে কোন ভাড়া লাগবে না। তারা ফ্রিতে চলাচল করতে পারবেন। কারণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন-আমার মুক্তিযোদ্ধাদের কোন ভাড়া লাগবে না। এটি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিরল সম্মান।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, মিলনমেলা ও বিনামূলে চিকিৎসা সেবা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। জিয়া এবং এরশাদ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমান করেছেন এবং অবহেলা করেছেন। বর্তমান সরকার ছাড়া কেউ আমাদের খোঁজও নেয়নি। এ সরকারের আমলে আমরা সম্মান পাচ্ছি। সম্মান দিলে সম্মান আরো বেশি পাওয়া যায়। অন্যান্য দেশে স্বাধীনতা দিবসও ঠিকমত পালন করতে পারে না। আর আমাদের দেশে মুক্তিযোদ্ধাদেরও প্রতিমাসেই সম্মান দেয়া হয়। শেখ হাসিনা দয়ার সাগর। তিনি দিতে জানেন। 

মায়া চৌধুরী বলেন, বিএনপি শুধু মিথ্যাচার করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও বিকৃতি করে। তারা বলেছিলো আওয়ামী লীগের খেলা নাকি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারা গরু চরানো মাঠে গিয়ে সভা করে। শুধু দফা আর দফা দেয়। আবার বলে ৩০ তারিখ মাঠে নামবে। ইনশাআল্লাহ আমরাও মাঠে থাকবো। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাবে। ভোট হবে সরকার অধিনে থেকে। জোর করে ক্ষমতা যাওয়া যাবে না। নৌকাকে জয়লাভ করাতে পারলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অক্ষুন্ন থাকবে। জয় বাংলা বললে কেউ ঘরে বসে থাকতে পারে না।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, যুদ্ধকালিন নৌ-কমান্ডার শাহজাহান কবির বীর প্রতীক, এফএফ কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুস্তম আলী,  ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুর রব ভুঁইয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, প্রমুখ। জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেলের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধকালীন চাঁদপুর জেলার ৪শ’ জন কমান্ডার ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সন্মানি প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা এবং উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।  

চাঁদপুরের সকল পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্য, জেলা পরিষদের সকল সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে স্থানীয় শিল্পীদের অংশ

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.