প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ –বান্দবানে লোকজ মেলায় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবে অবগত হয়েই দেশের উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, আর তা যথাযথ সময়ের মধ্যে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেন। এর ফলে দেশের সাধারণ জনগণ সার্বিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। পদ্মা সেতু আর মেট্রো রেল চালু করে তার সত্যতা প্রমাণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রাতে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে দু’দিনব্যাপী লোকজ মেলা, পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদানে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে রাতে ঢাকা থেকে বাসে রওয়ানা দিয়ে সকালে বান্দরবান পৌঁছে সারাদিন ঘুরেফিরে আবার রাতেই ঢাকায় ফিরে যেতে পারছেন পর্যটকরা। এই উন্নয়ন সমষ্টিগতভাবেই হয়েছে। আমাদের আরও আধুনিক হতে হবে। তবে সেটা নিজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে ভুলে নয়। আধুনিক হতে হবে এজন্য যে, বান্দরবান এখন পর্যটন নগরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা হবে বান্দরবান।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার ১২টি জাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, থানচি উপজেলায় বড় পাথর তমা-তুঙ্গী, নাফাকুম এখন আর আতঙ্ক নয়, পর্যটকদের কাছে এখন আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা আর উন্নয়নের ফলে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটছে এবং আগামীতে আরও পর্যটক বান্দরবান ভ্রমণে আসবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দু’দিনব্যাপী লোকজ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় মেলা প্রাঙ্গণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের স্টল পরিদর্শন করেন তিনি। পরে মেলা প্রাঙ্গণে বান্দরবানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে শিল্প ও শক্তি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুরাইয়া আক্তার সুইটিসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।