বোরো আবাদে নতুন প্রযুক্তি ॥ বাড়ছে উৎপাদন
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এরই ধারাবাহিতকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমালয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপণ ও কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তনের পাশাপাশি এবার ট্রেতে বোরোর চারা তৈরিতে নতুন প্রযুক্তি সিডার যন্ত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
উৎপাদন খরচ কমানো, কর্তনোত্তর অপচয় রোধ, কায়িক শ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পূরণ ও ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতেই এই সমলয় কর্মসূচি বাস্তবায়ত করছে। গত দুই বছরের সফলতায় এবারও এই পদ্ধতি বোরো চাষাবাদ করতে যাচ্ছে কৃষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে সরকারের সময়ল পদ্ধতি কার্যক্রমের আওতায় সরকারি প্রণোদনায় ধানের ট্রেতে বীজতলা তৈরি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে চারা রোপণ ও কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কর্তন পর্যন্ত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, নীলফামারী সদর উপজেলার তরুণীবাড়ি ব্লকে ৫৮ জন কৃষকের দুইশ’ বিঘা জমিতে বোরো ধানের সমালয়ে চাষাবাদ ট্রেতে বীজতলা তৈরি কাজ করেছে।তবে এবার ট্রেতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়। সিডার যন্ত্র দিয়ে একদিনে ১০ জন শ্রমিক ৩০০০ হাজার ট্রেতে বীজতলা স¤পন্ন করতে পারছে। এতে কমছে শ্রমিক খরচ ও সময়।
তরুণীবাড়ি ব্লকের কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্থপ্রতিম রায় জানান, গত দুই বছর আগে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদ করা হয় ১৫০ বিঘা জমিতে। এবার আরও ৫০ বিঘা জমি বৃদ্ধি করেছে স্থানীয় কৃষকরা। তিনি জানান বর্তমান সরকারের এই সহায়তায় বাংলার কৃষকরা উৎপাদন খরচ কম এবং বেশি লাভবান হওয়ায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে ঝুঁকছে।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আতিক আহমেদ কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন। তিনি আরও জানান, ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা হয় ১৬ ডিসেম্বর। চারার বয়স এখন ১৩ দিন চলছে। ৩০ দিন হলেই জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে চারা রোপণ করে দেয়া হবে। পাশাপাশি কৃষকরা কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে কৃষকদের ধান কর্তনও করে দেওয়া হবে। যা বিগত দই বছর ধরে সরকার এই প্রনোদনা বাস্তবায়ন করে আসছে।