নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে সব দূতাবাসকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞায় বেশ বিপাকে ফেলেছিল সরকারকে। নির্বাচনের আগে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আবার আসতে পারে এমন আশঙ্কায় বহির্বিশ্বে থাকা বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও মিশনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সতর্কতার নির্দেশ সম্বলিত একটি চিঠি ইতিমধ্যে দূতাবাস ও মিশনপ্রধানদের পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রসচিব ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞার’ মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

চিঠির বিষয়ে ইউরোপে নিযুক্ত একটি দেশের রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। ওই চিঠি পাঠানোর একদিন পর ১ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক অনলাইন বৈঠকে নির্বাচনের বছরে সতর্ক থাকার জন্য বিদেশে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্রসচিবের পাঠানো চিঠিতে বর্তমান বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দূতাবাসগুলোকে আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। র‍্যাবের নাম উল্লেখ না করে চিঠিতে এর আগে ‘এলিট’ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

আরও বলা হয়, এখন যেকোনো অজুহাতে সরকারি সংস্থার এবং এর কর্মকর্তাদের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

এই অবস্থায় সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ক্ষতিকর তৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতদের নিজ নিজ দায়িত্বের এলাকায় অত্যন্ত সতর্ক ও সজাগ থাকতে চিঠিতে নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রসচিব।

পররাষ্ট্রসচিবের এই সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়াকে একটি ‘সঠিক উদ্যোগ’ বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধজ্ঞা আনার জন্য তৎপরতা আছে, এটা ঠিক। আগেই সতর্ক থাকলে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাও হয়তো এড়ানো যেত।

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে জারি হয়েছিল এই নিষেধাজ্ঞা। এখন নির্বাচনের আগের বছরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর সঙ্গে একধরনের টানাপোড়েন চলছে। ঠিক এমন সময়ে নিজের দূতাবাস ও মিশনগুলোকে সতর্ক করল মন্ত্রণালয়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.