বাংলাদেশকে রেকর্ড ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে কোরিয়া

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ দিতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
বর্তমান মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী (১ ডলারে ১০৫ টাকা) বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

চলতি বছর থেকে ২০২৭ পর্যন্ত ৫ বছরে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ দেবে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে এ ঋণ ব্যবহার করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) তহবিল থেকে এ ঋণ নেওয়া হচ্ছে। ৭ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে মাত্র ১ শতাংশ সুদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে রোববার এ বিষয়ে লেটার অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এলইউ) এবং কো-অপারেশন অ্যারেঞ্জমেন্ট (সিএ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ-ইআরডি।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ইআরডি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ চুক্তিতে বাংলাদেশের তরফে ইআরডি সচিব শরীফা খান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে দেশটির অর্থ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী সেয়ং উক কিম স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে কো-অপারেশ অ্যারেঞ্জমেন্ট (সিএ) চুক্তিতে ইআরডি‘র অতিরিক্ত সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক তায়ে সু কিম স্বাক্ষর করেন।

দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়ে আসছে। তবে গত তিন দশকে বাংলাদেশকে দেওয়া দেশটির ঋণের পরিমাণ মাত্র ১৩১ কোটি ডলার। সে হিসাবে এর তিন গুণের বেশি ঋণ আগামী পাঁচ বছরে দিতে চলেছে কোরিয়া।

গত ৩০ বছরে কোরিয়ার ৬১ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের আর্থিক সহায়তায় মোট ১৬টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৬১ কোটি ৬২ লাখ ডলারের ৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

৮৬ লাখ ডলারের অনুদান জাপানের । এদিকে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী জাপান একটি কারিগরি প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮৬ লাখ ডলারের অনুদান দিচ্ছে।

‘দ্য প্রজেক্ট ফর দ্য ইম্প্রুভমেন্ট অব ইকুইপমেন্ট ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে এই অনুদান সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

এ বিষয়ে সোমবার জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি অনুদান চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিতে ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং ঢাকায় জাইকা প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে স্বাক্ষর করেন। প্রকল্পটির মাধ্যমে টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিটিসি), ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (ডিপিআই) এবং ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (ডিএমপিআই) ওয়ার্কশপে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে।

এছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচিত ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল এবং কম্পিউটার ল্যাবে যন্ত্রপাতি স্থাপন, সংস্কার এবং শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.