বাংলাদেশ জটিল সার্জারির সক্ষমতা অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশ এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন করতে সক্ষম।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. শরফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের এই মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, কিডনি প্রতিস্থাপন রোগী শামীমা আক্তার ও শবনম সুলতানা এবং কিডনিদাতা সারা ইসলামের মা।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী মতবিনিময়কালে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে এক দল চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে সংগৃহীত কিডনি দুই রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। এটি ছিল দেশে প্রথম ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন।
তারা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ বছর বয়সী রোগী সারা ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নেন। ১৮ জানুয়ারি বিকেলে তাকে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়। সারার মা অপারেশনে সম্মতি দেয়ার পর কিডনি সংগ্রহ করা হয়।
জীবিত দাতাদের কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে শুরু হয়েছিল। তবে মৃত রোগীর কিডনি নেয়ার ক্ষেত্রে আইনি সীমাবদ্ধতা ছিল। ২০১৮ সালে অঙ্গদান আইনটি সংশোধন করা হয়- যাতে সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের সম্মতিতে মৃতদের কাছ থেকে অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দেয়া হয়।