শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিত্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনি ও ভোজ্য তেলের ওপর আরোপিত শুল্কহার কমিয়েছে।

গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে এসংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন সরকারি দল আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন খান ও হাবিবুর রহমান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও গণফোরামের মোকাব্বির খান।

পৃথক প্রশ্নে তাঁরা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ এবং এ বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান।

লিখিত জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বাধাগুলো দূর করতে এলসি খোলায় ন্যূনতম মার্জিন রাখার বিষয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলারের সরবরাহ রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মসলার বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও মসলা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করা হয়েছে।

সভায় খুচরা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধি রোধ করে পাইকারি পর্যায়ে পাকা রসিদ ছাড়া পণ্য বিক্রি না করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দরিদ্র জনগণকে সহায়তা করতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য (দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি) বিক্রি করা হচ্ছে।

একই প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সমন্বয়ে গঠিত বাজার মনিটরিং টিম প্রতিদিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিত রাজার মনিটর করছে।

অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে গত ৩১ মে পর্যন্ত ১১ হাজার ২৯টি বাজার মনিটর করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা বাজারগুলোতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই : দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি আরো জানান, দেশে চিনি ও পেঁয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন ও ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন। চিনি ও পেঁয়াজের উৎপাদন যথাক্রমে প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন ও ২৮ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন।

চিনির দেশীয় উৎপাদন অতি নগণ্য হওয়ায় প্রায় ৯৯ শতাংশ চিনির চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

চিনির মূল্যবৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য গত তিন মাসে প্রতি মেট্রিক টনে প্রায় ১৬০ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানির ব্যয় নির্ধারণে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের মূল্য এক বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও স্থানীয় বাজারে চিনির মূল্য বেড়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.