খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত চার

0

নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সিমান্তবর্তী পানছড়ি উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা নিহত হয়েছে। সোমবার রাত ১০ টার দিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং’র পুজগাং ইউনিয়নের অনিল কার্বারি পাড়া এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্বৃত্তরা আরও দুইজনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে ইউপিডিএফ নেতারা দাবী করেছে।

নিহতরা হলেন, প্রসীত বিকাশ খীসা সমর্থীত মুল ইউপিডিএফের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি’র) সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা (২৮), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা (২৯) ও ইউপিডিএফ সদস্য রহিনসা ত্রিপুরা। এছাড়াও ইউপিডিএফ সংগঠক নীতি দত্ত চাকমা ও হরি কমল ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপিডিএফ জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। নব্যমুখোশধারী ‘গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ’ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

ইউপিডিএফ ঘটনার দাবী করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর সঠিক তথ্য নিয়ে জানানো হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে পানছড়ির পুজগাং এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় ঐ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ উক্ত ৭ জন নেতা-কর্মী গতকাল লোগাং এলাকায় যান। তারা রাতে অনিল কার্বারি পাড়া গ্রামে এক বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আনুমানিক রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা একে একে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রহিনসা ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে, দুর্বৃত্তরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে যাওয়ার সময় নীতি দত্ত চাকমা ও হরি কমল ত্রিপুরাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই ধারণা করছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.