ঋণ বিতরণে গ্রাহকের ঝুঁকির নীতিমালা শিথিল

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক ; অভ্যন্তরীণ ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় ব্যাংকের ঋণ বিতরণের নীতিমালা আরও এক বছর শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ২০২৪ সালেও কোনো গ্রাহকের ঋণ মান ৪০ শতাংশ হলে তিনি ঋণ পাবেন। তবে ২০২৫ সাল থেকে ঋণ পেতে হলে অবশ্যই মান ৬০ পেতে হবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারের বিধিবিধান এখন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ সার্কুলারটি বাতিল বলে গণ্য হবে। ঐ দিন থেকে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারের বিধিবিধান কার্যকর হবে।

জানা গেছে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন গ্রাহকদের বছর শেষে আর্থিক বিবরণী তৈরি করে তা ব্যাংকে দিতে হয়। আর্থিক বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে আগের নিয়মে ৭৫ শতাংশের বেশি পেলে অতি উত্তম, ৬৫ শতাংশের বেশি থেকে ৭৫ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৫০ শতাংশের বেশি থেকে ৬৫ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৫৫ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে ৪০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, দেশব্যাপী ব্যবসায়িক কার্যক্রম গতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের বিদ্যমান আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকিং খাত হতে প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা প্রদানসহ বিদ্যমান ঋণ নবায়ন অব্যাহত রাখতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। এরপর থেকে ২০১৯  সালের ২০ জুনের নির্দেশনা পুনর্বহাল হবে।

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৮০ শতাংশের বেশি পেলে অতি উত্তম, ৭০ শতাংশের বেশি থেকে ৮০ শতাংশের কম পেলে ভালো, ৬০ শতাংশের বেশি থেকে ৭০ শতাংশের কম পেলে প্রান্তিক এবং ৬০ শতাংশের কম পেলে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে ৫০ শতাংশের কম পেলে তিনি আর নতুন ঋণ পাবেন না।

নির্দেশনা অনুযায়ী, রেটিং করার ক্ষেত্রে একটি পার্টি বা গ্রাহকের পরিমাণগত সক্ষমতায় ৬০ শতাংশ নম্বর এবং গুণগত সক্ষমতায় ৪০ শতাংশ নম্বর থাকবে। পরিমাণগত সক্ষমতা সূচকে ৬০ নম্বরের মধ্যে মোট গৃহীত ঋণ ও আর্থিক সক্ষমতায় ১০, চলতি দায় ও তরল সম্পদে ১০, মুনাফার সক্ষমতায় ১০, সুদ পরিশোধের সক্ষমতা ও নগদ প্রবাহের ওপর ১৫, পরিচালনগত দক্ষতায় ১০ এবং ব্যবসার মানের ওপর পাঁচ নম্বর থাকবে। এছাড়া, গুণগত সক্ষমতায় ৪০ নম্বরের মধ্যে কার্যদক্ষতার আচরণে (পারফরম্যান্স বিহ্যাভিয়র) ১০, ব্যবসা ও খাত ঝুঁকিতে সাত, ব্যবস্থাপনা ঝুঁকিতে সাত, জামানত ঝুঁকিতে ১১, সম্পর্ক ঝুঁকিতে তিন, পরিপালন ঝুঁকিতে দুই নম্বর থাকবে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.