দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত নতুন সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নকে ত্বরান্বিত করার দাবি

0

নিজস্ব প্রতিনিধি: রোডক্রাশে বিশ্বে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন হাজার ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয় । এ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ৫-২৯ বছর বয়সের মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ রোডক্র্যাশ বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০২৩’ তে বলা হয়েছে। একই রিপোর্টে শুধুমাত্র ২০২১
সালের রোডক্র্যাশে প্রায় ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, সড়ককে নিরাপদ ও এর
ব্যবহারকারীদের জীবনের নিশ্চিয়তার লক্ষ্যে নতুন করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছে রোড
সেফটি কোয়ালিশন, বাংলাদেশ।

আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জনাব ওবায়দুল কাদেরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে পুণরায় সেই দাবি উত্থাপন করেন রোড সেফটি কোয়ালিশন, বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিবৃন্দ।

এ সময় জিএইচএআই-এর কান্ট্রি কো-অরডিনেটর ড. শরিফুল আলম জানান, বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬ অর্জনের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে রোডক্র্যাশে প্রাণহানির সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে “গ্লোবাল প্ল্যান ফর সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০” এর আওতায় ৫টি স্তম্ভ যথা: বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা; নিরাপদ যানবাহন; নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো; নিরাপদ সড়ক ব্যবহার; রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত পরিবহন
সংক্রান্ত আইন। তাই সড়ককে অধিকতর নিরাপদ করতে ও রোডক্র্যাশ কমাতে এই আইন ও বিধিমালা যথেষ্ট নয়। এ
জন্যই জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বর্ণিত ৫টি স্তম্ভ বিবেচনায় নিয়ে একটি নতুন সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন করা দরকার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সড়ককে নিরাপদ করার জন্য একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করার জন্য আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই । আমরা রোড সেফটি কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে এই আইন প্রণয়নকে ত্বরান্বিত করার দাবি জানাই।

সৌজন্য সাক্ষাতে রোড সেফটি কোয়ালিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এআরআই এর
সহকারী অধ্যাপক ড. এস এম সোহেল মাহমুদ, ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসেইন ও
ম্যানেজার এম খালিদ মাহমুদ, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, নিরাপদ সড়ক
চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব
বাংলাদেশের রোড সেফটি প্রোগ্রামের পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঞাঁ ও প্রোজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ ওয়ালী
নোমান, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এর প্রোজেক্ট ম্যানেজার কাজী বোরহান
উদ্দিন, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের কর্মসূচি সমন্বয়কারী হীরেন পন্ডিত,
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শারাফাত-ই-আলম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
সহকারী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা সিফাত-ই-রাব্বানি এবং স্টেপস
টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের প্রকল্প কর্মকর্তা চন্দন লাহেড়ী প্রমুখ।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.