মামলার ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু হবে

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক, কিং অংসহ ১৮ ব্যক্তি যে দুটি আবেদন করেছিলেন, গত বছরের ১৩ জানুয়ারি আদালত তা খারিজ করে দিয়ে অভিযুক্তদের জবাব দিতে এবং মধ্যস্থতারও নির্দেশ দিয়েছেন।

আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, ‘আমরা তাদের আইনজীবীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি, কিন্তু এখনো উত্তর পাইনি। তারা যদি এই সময়ের মধ্যে উত্তর পাঠায়, তাহলে আলোচনা হবে। আর তারা যদি কোনো উত্তর না দেয়, তাহলে মামলার ট্রায়ালের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। আমরা ওদের কাছে ডিসক্লোজার (তথ্যবিনিময়) চাইব, আমাদের ডিসক্লোজার দেব। এরপর শুনানির জন্য প্রস্তুতি নেব।’

যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের মামলার নিয়ম অনুযায়ী, আইনগত প্রক্রিয়া শুরুর অংশ হিসেবে উভয় পক্ষ একে অন্যের কাছে মামলাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য বা কাগজপত্র চাইতে পারে। সাধারণত দুই পক্ষের কাছে যেসব নথিপত্র আছে, সেগুলো বিনিময় করতে হয়। এসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার আইনগত কার্যক্রম শুরু হবে। অনেক সময় কোনো কোনো পক্ষ বা ব্যক্তি তথ্য দিতে না-ও চাইতে পারে, কিন্তু তার ব্যাখ্যা থাকতে হবে।

হ্যাকার গ্রুপটি এখনো সক্রিয় : জাতিসংঘ

বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরি করা হ্যাকার গ্রুপটি এখনো সক্রিয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে রিজার্ভ চুরি করা উত্তর কোরিয়ার লাজারাস হ্যাকার গ্রুপ এবং টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত এর সহযোগী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চক্রটি এখনো সক্রিয় রয়েছে। পুরো চক্র এখন আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং নেটওয়ার্কগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে অর্জিত সম্পদ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।

গত ১৫ জানুয়ারি ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা পাচারের অর্থ এবং অবৈধ আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং নেটওয়ার্কগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতারক ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করছে। ক্যাসিনো ও ক্রিপ্টো কারেন্সি বিনিময়ের মাধ্যমগুলো এখন এ চক্রের অপরাধ সংঘটনের মূল স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রতিবেদনে ফিলিপাইনের লাইসেন্সকৃত ক্যাসিনো ও জাংকেট অপারেটরদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাইবার আক্রমণ করে চুরি করা প্রায় ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচারে সহায়তা করেছিল। এই অর্থ চুরির জন্য লাজারাস গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ কার্যালয় (ইউএনওডিসি) বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার লাজারাস গ্রুপসহ হ্যাকাররা মেকং এলাকায় অর্থাৎ থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ায় এই ধরনের ভাগাভাগির বেশ কয়েকটি নজির দেখা গেছে। ঘটনা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও ব্লকচেইন ডাটা বিশ্লেষণ করে তাদের কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদক পাচার এবং সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থপাচার ও আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং অপারেশনের জন্য জাংকেট সেক্টরগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.