ভূমির অপরিকল্পিত ব্যবহার বন্ধে আইন হচ্ছে

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ভূমির অপরিকল্পিত ব্যবহার বন্ধে ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন-২০২৪ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় একটি খসড়া তৈরি করেছে। দেশের মানুষের মতামত গ্রহণের জন্য খসড়া আইনটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

খসড়া আইনে বলা হয়, অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন বাড়ি-ঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কাজ, শিল্পকারখানা স্থাপন, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক কারণে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্য শস্য উৎপাদনের নিমিত্ত কৃষিজমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

আইনের খসড়াটির ওপর জনসাধারণ এবং অংশীজনরা ইমেইল কিংবা পত্রের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারবে।

এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন, বাড়ি-ঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিল্পকারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণরোধ করা। ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা। কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।

আইনের মূল বিধানগুলির মধ্যে রয়েছে- ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, ভূসংস্থানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে জমির ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে জমিকে স্বতন্ত্র অঞ্চলে নিখুঁতভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং স্থল মূল্যায়নের মাধ্যমে, সরকার ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি করছে– যা সারাদেশে পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য একটি স্পষ্ট প্রতিচিত্র প্রদান করবে। ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি সংশ্লিষ্ট ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলমান প্রকল্পটির নাম মৌজা ও প্লট ভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প।

খসড়ায় ভূমি জোনিংয়ের ১০টি শ্রেণিবিন্যাসের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো, আবাদি, আবাসিক, বাণিজ্যিক, জলাভূমি, নদী, বন, পাহাড়, রাস্তা, শিল্প এবং ধর্মীয় স্থান।

ভূমি ব্যবহার বিধি লঙ্ঘনকারির ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে খসড়ায়। জরিমানা থেকে শুরু করে কারাদণ্ড পর্যন্ত রয়েছে। যা শ্রেণি বহির্ভুত ভূমির অবৈধ ব্যবহার এবং অবৈধ ভূমি দখল রোধে সরকারের অঙ্গীকার। এই আইনের অধীনে অনধিক ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.