স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রির চিন্তা
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। টিসিবি এদেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, টিসিবির কার্ডধারীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবে ভবিষ্যতে স্থায়ী দোকানে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিসিবির স্মাট কার্ড ও হুইল চেয়ার বিতরণ, ডিলার, বাজার সমিতি ও অংশীজনের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, একজন দিনমুজুর তার টিসিবির পণ্য নিতে এসে তার সারা দিনের শ্রমঘণ্টা ব্যয় করেন। এতে তারা ৭ থেকে ৮ শ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হন। এ জন্য টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলাকে মডেল হিসেবে নিয়ে স্থায়ী দোকানে পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে ১ কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে নাগরপুরে রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৯টি পরিবার।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টিসিবি অনেক বড় একটি কর্মযজ্ঞ। টিসিবি এদেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান টিসিবি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশে যে পণ্যগুলো উৎপাদন হয় না বিদেশ থেকে সেগুলো আমদানি করতে হয়। পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার জন্য টিসিবি সৃষ্টি করা হয়েছিল।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে স্থানীয় নেতারাা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী উপজেলার কলিয়া-সরিষাজানি রাস্তার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি দুপুরে তেবাড়িয়া পাইকশা বাজার এবং তেবাড়িয়া মহারাজের দোকান হতে নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তার ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন।
এ ছাড়া তিনি পরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিঃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদ খান ঝলকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।