শেষ হলো ৮ম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স
8th Bangladesh School of Internet Governance of BIGF
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ): টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট শিল্পে দক্ষ ও যুগোপযুগী জনবল, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ) যাত্রা শুরু করে।
ফলস্বরূপ টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট শিল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আটটি ব্যাচে ৬০২ জন মানবসম্পদ তৈরি করে। এর মধ্যে ৬৯ ভাগ পুরুষ ও ৩১ ভাগ নারী এই প্রক্রিয়ায় ১৫৫ জন সরকারী, বেসরকারীখাত, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ, নীতি বিশেষজ্ঞ, রিসোর্স পারসন এবং নীতি নির্ধারক প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
২৫ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে শুরু হয় বাংলাদেশ স্কুল অফ ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ) এর ৮ম স্কুলিং। এবারের স্কুলে অংশ নিয়েছেন ৮২ জন ফেলো। তিনদিন মেয়াদী এই ক্লাসে ইন্টারনেট প্রশাসনের আদ্যোপান্ত যেমন গভর্নেন্স, ইন্টারনেট গভর্নেন্স ও ডিজিটাল গভর্নেন্স, ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ডিএনএস ও ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম এবং বিগ ডাটা বিষয়ে হাতে কলমে শিখেছেন নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা।তাছাড়া সমাপণী দিবসে নিরাপদ ইন্টারনেট, প্রযুক্তি ও আইন বিশেষ করে এআই পলিসি আইন, তথ্য বা উপাত্ত সংরক্ষণ আইন, টেলিকম আইন, ই-কমার্স আইন, স্মার্ট বাংলাদেশ ও ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার জন্য আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত জানান বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, সেশন পরিচালনা করেন জনাব রেহান উদ্দিন আহমেদ রাজু। গভর্নেন্স, ইন্টারনেট গভর্নেন্স ও ডিজিটাল গভর্নেন্স নিয়ে আলোচনা করেন এএইচএম বজলুর রহমান, প্রধান নির্বাহী, বিএনএনআরসি ও ভাইস চেয়ারপারসন, বিআইজিএফ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনা করেন বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের লেকচারার আব্দুর রশীদ তুষার, ইন্টারনেট অব থিংস নিয়ে আলোচনা করেন প্রফেসর ড. এ বি এম আলীম আল ইসলাম। এর পর ব্যবহারিক ক্লাসে ডেমনস্ট্রেশন করে বিষয়গুলো দেখানো হয়।
দ্বিতীয় দিনে ইনটারন্যাশনাল ফেলোশীপ নিয়ে আলোচনা করেন বিডিসিগ সেক্রেটারি জেনারেল আশরাফুর রহমান পিয়াস, ডিএনএস ও ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং শেষ সেশেনে বিগডাটা নিয়ে আলোচনা করেন বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের লেকচারার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। এর পর ব্যবহারিক ক্লাসে ডেমনস্ট্রেশন করে বিষয়গুলো দেখানো হয়। অংশগ্রহণকারীরা বিশেষ করে নিরাপদ ইন্টারনেট, প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট আইন, এআই পলিসি ও আইন, ডাটা প্রোটেকশন, ই-কমার্স এর মতো বিষয়ে আলোচনা এবং পরবর্তীতে কিভাবে আরো উত্তরোত্তর উন্নয়ন সম্ভব সে বিষয়ে আলোচানা হয়।
সমাপণী দিবসের প্রথম অধিবেশনে নিরাপদ ইন্টারনেট সেশনে সভাপতিত্ব করেন অপরাজিতা হক, এমপি, তিনি সাইবার স্পেসে নারী ও শিশুদের নিরপাত্তার ওপর জোর দেন এবং বলেন সাইবার নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। ভৌগলিক সীমারেখা সুরক্ষিত রাখতে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশ পথে বিভিন্ন বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সাইবার দুনিয়া এমন এক দুনিয়া যার কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই। সুতরাং নাগরিক এবং দেশের সুরক্ষা, গোপনীয়তা ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সকলকে সচেতন হতে হবে। এই বিষয়ে সরকার বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন, প্রয়োজনে আরও নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে।ভুল তথ্য থেকে সুরক্ষা ও প্রতিরোধে সবার ভূমিকা রয়েছে। বিধি-বিধান প্রণয়নের দায়িত্ব সরকারের। তবে সেগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব সকল স্টেকহোল্ডারের। একজন আইন প্রণেতা হিসেবে তিনি এ বিষয়গুলো নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যেতে প্রযোজনীয় সহযোগিতা করবেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল উর রহমান, এনডিসি, পিএসই, টিই, মহাপরিচালক, সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগ, বিটিআরসি।
আইন ও প্রযুক্তি শীর্ষক সেশনে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ আমিনুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান, বিটিআরসি, তিনি বলেন, প্রযুক্তি আইন মেধা সম্পত্তি, ডেটা গোপনীয়তা, সাইবার নিরাপত্তা, এবং ই-কমার্স সহ উন্নত প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত একাধিক আইনি বিষয় কভার করে। এটি প্রয়োজনীয় কারণ এটি ব্যক্তি এবং উদ্যোগের স্বার্থ এবং অধিকার রক্ষা করার সময় প্রযুক্তি ডিজাইন এবং ব্যবহারের জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল অনুষদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সাইমুম রেজা তালুকদার।
স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক সেশনে সভাপতিত্ব করেন, প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, কমিশনার, বিটিআরসি। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের পর বাংলাদেশ এখন নতুন কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছেন। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সাল একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মোঃ শাহরিয়ার হাসান জিসান।
ডিজিটাল ডিভাইড শূন্যে নিয়ে আসা শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জুলকারিন জাহাঙ্গীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান, এনডিসি, পিএসই, টিই, মহাপরিচালক, সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগ, তিনি বলেন বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন, টেলিযোগাযোগের সম্প্রসারণ, মোবাইল প্রযুক্তি এবং প্রত্যন্ত, উপকূলীয় অঞ্চলে ইন্টারনেট-ভিত্তিক পরিষেবার প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করছে। হাওর ও পার্বত্য এলাকা, দ্বীপ এলাকায় স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক প্রকল্প, হাওর ও দ্বীপসমুহে হাই-স্পিড মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন, হাওর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।নতুন প্রজন্মের সাথে আমাদের একটি দূরত্ব রয়েছে। কিন্তু সংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে তারা অনেক বেশি। সুতরাং নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নারী অংশগ্রহণকেও গুরুত্ব দিতে হবে৷
প্রযুক্তি ও টেলিকম বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির, সিটিও ফাইবার এট হোম বলেন, ডিজিটাল খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে রূপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তবে জনগণের অধিকারের বিষয়গুলোর উপর নজর দিতে হবে, কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কত সুন্দর ও সাবলীলভাবে জীবন যাপন করা যায় সেটিই প্রযুক্তি ব্যবহারের মূল বিবেচ্য বিষয়। এটি কাজে লাগিয়ে নাগরিকের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে৷
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দীন আহমেদ, তিনি বলেন বাংলাদেশ টুজি নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশের পর গত দুই দশকে দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্ক কাভারেজের আওতায় এসেছে। বিটিআরসি কর্তৃক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য সেবা চালু হওয়ার কারণে শহর ও গ্রামের মধ্যে ইন্টারনেটের দামের বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণের পাশাপাশি সকলের জন্য স্মার্ট ডিভাইসের সহজলভ্যতাও নিশ্চিত করতে হবে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারায় ইন্টারনেট অপরিহার্য হয়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নে বিটিআরসি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নেটওয়ার্ক কাভারেজ, নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট, স্মার্ট ডিভাইস এবং ডাটামূল্যের সহজলভ্যতা, ডিজিটাল অবকাঠামো বিনির্মাণের ওপর গুরুত্বরোপ করেন তিনি। টেকসই ইন্টারনেট সুবিধা, ইন্টারনেটের অর্থবহ ব্যবহার জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এখনো অনেকে ইন্টারনেট সেবার বাইরে আছে। তাদেরকেও এর আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষ, ধনি-গরীব প্রত্যেক নাগরিকের কাছে হাইস্পিড, আন-ইন্টারাপ্টেড ও কোয়ালিটিফুল ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে হবে।
সমাপণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক এমপি ও মন্ত্রী, বিআইজিএফ চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু।
সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন, ইন্টারনেট আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তবে ইন্টারনেট সাশ্রয়ী মূল্যের হওয়া উচিত এবং সবার জন্য সমানভাবে তা নিশ্চিত করা উচিত। ডিজিটাল ব্যবধান কমাতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সম্ভব হলে ডিজিটাল ডিভাইড এর মূল্য কমাতে হবে। আমাদের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে অন্যান্য ডিভাইস সবার জন্য সহজলভ্য করা উচিত। সবার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি জরুরি বিষয়।
জনসাধারণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের হার প্রদানের জন্য টেলিকম কোম্পানিগুলির জন্য ভ্যাট এবং ট্যাক্স হ্রাস করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বিভক্তি দুর করতে হলে সামাজিক বৈষম্য, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হবে। আধুনিক সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে হলে যুবশক্তিকে শতভাগ প্রযুক্তির আওতায় আনতে হবে।
অংশগ্রহণকারীদের মাঝে দু্জন ফেলো ইসরাত জাহান সাদিয়া ও মাসুদ রানা তিনদিনব্যাপী এই আয়োজনের ওপর তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
পুরো স্কুল সঞ্চালনায় ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিআইজিএফ মহাসচিব মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু। স্কুল পরিচালনায় আরো দায়িত্ব পালন করছেন বিডিসিগ সেক্রেটারি জেনারেল আশরাফুর রহমান পিয়াস, ভাইস চেয়ার নাজমুল হাসান মজুমদার ও ফেলোশীপ কমিটির সভাপতি ইকবাল আহমেদ। ডিজিটাল বৈষম্য শুন্যে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার নিয়ে সাজানো কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বহুপক্ষীয় কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শেষ হয় এই স্কুল।
অনুষ্ঠান শেষে ফেলোদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম এর যৌথ উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী ৮মবিডিসিগ অনুষ্ঠিত হয়।
8th Bangladesh School of Internet Governance of BIGF
Bangladesh School of Internet Governance (bdSIG) started its journey in 2017 to meet the challenge of a skilled and modern workforce in the telecommunication and internet industry, Digital Bangladesh, and the Fourth Industrial Revolution. As a result, 602 human resources were created in eight batches to meet the telecommunication and internet industry challenges, digital Bangladesh, and the fourth industrial revolution. Of these, 69% are men and 31% are women. 155 government, private sector, civil society, media, academics, policy experts, resource persons, and policymakers participated in this process as trainers.
The 8th Bangladesh School of Internet Governance (bdSIG) started on 25th April in the Faculty of Computer Science and Engineering of Bangladesh University of Engineering (BUET). Eighty-two fellows participated in this year’s school. In this three-day class, selected fellows learned the basics of Internet administration, such as governance, internet governance, digital governance, artificial intelligence, the Internet of things, DNS and Internet ecosystem, and big data.
On the concluding day, safe internet, technology, and law were discussed, especially AI, the Policy Act, the Information or Data Preservation Act, the Telecom Act, the E-Commerce Act, Smart Bangladesh, and various initiatives to eliminate digital disparity.
BIGF Secretary General Mohammad Abdul Haque Anu welcomed the session at the beginning of the program, moderated by Rehan Uddin Ahmed Raju. AHM Bazlur Rahman, Chief Executive Officer, BNNRC and Vice Chairperson, BIGF, discussed governance, internet governance, and digital governance. Abdur Rashid Tushar, the lecturer of the computer science department of BUET, discussed artificial intelligence, and Professor Dr. ABM Alim Al Islam addressed the Internet of Things. After that, the subjects are demonstrated in practical classes.
On the second day, bdSIG Secretary General Ashrafur Rahman Piaus discussed International Fellowship and Dhaka University Network Engineer Mohammad Mehedi Hasan discussed DNS and the Internet Ecosystem. In the last session, Mohammad Ashraful Islam, Lecturer of the Computer Science Department of BUET, discussed Big Data. After that, the subjects were demonstrated in practical classes.
The participants discussed topics like safe internet, technology-related laws, AI policies and laws, data protection, e-commerce, and how to develop the future further.
Aparajita Haque, MP, chaired the Safer Internet session on the first session of the closing day. She said, stressing the safety of women and children in cyberspace and saying that cyber security and regulation are essential. Everyone has a role to play in protecting and preventing misinformation. It is the responsibility of the government to make the rules. However, it is the responsibility of all stakeholders to implement them. As a lawmaker, she will provide the necessary support for these issues. Various forces work tirelessly on land, sea, and air to secure the geographical border. However, the cyber world is a world that has no geographical boundaries. Therefore, everyone should be aware of the security, privacy, and safe use of the Internet for citizens and the country. In this regard, the government has enacted various laws and policies, and new regulations will be passed if necessary.
Brigadier General Mohammad Khalil-Ur-Rahman, ndc, pse, te, Director General, Systems and Services Division, BTRC, presented the keynote address.
Mohammad Aminul Haque, Vice Chairman, chaired the session on Law and Technology, BTRC, and mentioned the importance of law in ensuring a secure cyberspace. He said technology law covers a range of legal issues related to advanced technology, including intellectual property, data privacy, cyber security, and e-commerce. It is necessary because it provides a framework for designing and using technology while protecting the interests and rights of individuals and enterprises.
Saimum Reza Talukder, Senior Lecturer, Faculty of Law, BRAC University, gave the keynote speech.
Engineer Sheikh Reaz Ahmed, BTRC Commissioner, chaired the Smart Bangladesh session. He said that after successfully implementing the promise of building Digital Bangladesh, Bangladesh is now moving forward with new programs. The Prime Minister is working tirelessly to achieve SDGs by 2030 and make a Smart Bangladesh by 2041. A cost-effective, sustainable, intelligent, knowledge-based, innovative Smart Bangladesh will be built on these four main foundations: Smart Citizen, Smart Economy, Smart Government, and Smart Society. Md. Shahriar Hasan JiiSun, National Consultant of a2i, presented the keynote speech.
Dr. Zulkarin Jahangir, a specialist in Minimizing the Digital Data Divide and Assistant Professor at North South University, presented the keynote speech at the closing ceremony.
Brigadier General Mohammad Khalil-Ur-Rahman, ndc, pse, te, Director General Systems and Services Division, BTRC, was present as the special guest. He said BTRC is implementing projects for broadband connectivity in telecommunication-deprived areas and expanding telecommunication, mobile technology, and Internet-based digital services in remote, coastal regions. Implement satellite network projects in Haor and hilly areas and island areas, establish a high-speed mobile broadband network across Haor and the islands, and establish a telecommunication expansion program for underprivileged people in remote regions. We have a distance from the new generation. But numerically, they are much more. So, the participation of the latest generation should be increased. Besides, women’s participation should also be given importance.
Technology and telecom expert Suman Ahmed Sabir, CTO of Fiber at Home, pointed out that Bangladesh has made significant progress in the digital sector. He said that if the current trend of digital transformation continues, the vision of forming a smart Bangladesh by 2041 will be implemented on time. However, people’s rights should be considered; nothing should be imposed. The primary consideration of using technology is how beautiful and easy life can be lived using technology. It should be used to improve the quality of life of citizens.”
BTRC Chairman Engineer Mohiuddin Ahmed was the chief guest at the closing ceremony. He said that after Bangladesh entered the era of the 2G network, almost a hundred percent of the country’s areas have come under mobile network coverage in the last two decades. With the introduction of the ‘One Country One Rate’ service for broadband internet by BTRC, the disparity in internet prices between cities and villages has been reduced; every citizen needs to be tech-savvy to reap the benefits of Smart Bangladesh. In addition to expanding internet connectivity, all people should be ensured access to smart devices. Stating that the internet has become essential in people’s daily lives, he said BTRC has taken various initiatives to develop digital connectivity and telecommunication infrastructure. He emphasized network coverage, uninterrupted high-speed internet, availability of smart devices and data rates, and building digital infrastructure. He also mentioned that sustainable internet facilities and meaningful internet use are essential. As a developing country, many people in Bangladesh still do not have internet service. They should also be brought under it. High-speed, uninterrupted, and quality internet service should be delivered to every citizen, male and female, rich and poor. To achieve Smart Bangladesh, the internet divide must be bridged. As a developing country, many people in Bangladesh still do not have internet service. They should also be brought under it. High-speed, uninterrupted, and quality internet service should be provided to every citizen, male and female, rich and poor.”
Former MP and Minister BIGF Chairperson Hasanul Haq Inu presided over the closing ceremony. In his address, he said the internet plays an essential role in our lives, but it should be affordable and ensured that it is equal for all. If free internet can reduce the digital divide, the price of the digital divide should be reduced. We need to build infrastructure so that other devices are accessible to everyone. Ensuring digital security for all is a matter of urgency. Reduce VAT and taxes for telecom companies to provide affordable rates to the public. He also said that to remove the digital divide, social inequality, and discrimination of backward communities, economic disparities must be eliminated. He also said that to adapt to modern times, the youth should be brought under technology 100%.
Two Fellows, Ishrat Jahan Sadia, and Masud Rana, shared their experiences and learnings from the three-day program
BIGF Secretary General Mohammad Abdul Haque Anu runs the total program. bdSIG Secretary General Ashrafur Rahman Piaus, Vice Chair Nazmul Hasan Majumder, and Fellowship Committee Chairperson Iqbal Ahmed also manage the school.
The school concluded on Saturday evening with a discussion of a multi-stakeholder program of action plans committed to addressing the digital divide. In the closing session, the fellows received the certificate. Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission and Bangladesh Internet Governance Forum held a three-day-long 8th bdSIG.