পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার দাবি সংসদে

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাপা ও স্বতন্ত্র এমপিরা আর্থিক খাতে বিভিন্ন অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তারা পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগের পাশাপাশি পাচারকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানান। গতকাল চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এই দাবি তোলেন।

সংসদ সদস্যদের এসব সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনিয়মের যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলো অনেকটা

ঢালাও অভিযোগ। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়। সম্পূরক বাজেটে ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ওপর ৬৬টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেওয়া হলেও আলোচনা হয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওপর। বাকিগুলো আলোচনা ছাড়াই ভোটে দেন স্পিকার।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জনগণের টাকা লুটপাট হচ্ছে, ব্যাংকে অনিয়ম হচ্ছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কী তদারকি করছে? পিকে হালদার কয়েক হাজার কোটি নিয়ে চলে গেছেন। বিভিন্ন সময় বড় বড় প্রতিষ্ঠান ঋণ নেয়, পরে তাদের সুদ মওকুফ করা হয়। এসবের জবাব কি অর্থমন্ত্রী দিতে পারবেন? ডলার সংকটের বড় কারণ পাচার। টাকা ফেরত আনতে না পারলেও অন্তত পাচারকারীদের চিহ্নিত করা হোক।

আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা তার খবর নেওয়ার দাবি জানিয়ে চুন্নু বলেন, এ প্রকল্পে যারা লার্নিং করতে আসে, তারা সঠিকভাবে আত্মস্থ করতে পারে না। এখানে অপব্যয় হচ্ছে।

স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ বলেন, টাকা পাচার বিষয়ে কঠোর হতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আরেক স্বতন্ত্র সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কেন অতিরিক্ত মঞ্জুরি দাবি করেছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।

পংকজ নাথ বলেন, দোয়েলের বাক্স খুললে যদি চায়নিজ কম্পিউটার পাওয়া যায়, তাহলে এটা কি অপচয় না দুর্নীতি? এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা সংসদ জানতে চায়। ডাক বিভাগের আধুনিকায়নের নামে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। ডাক বিভাগের জমির অবস্থা কী জানতে চান তিনি।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.