বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগাডের টহল জোরদার – ভীতি ও আতঙ্ক কেটেছে সেন্টমার্টিন এর আশপাশে

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগাড অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে
তারা সেন্টমার্টিনকে ঘিরে নিয়মিত টহল জোরদার করেছেন। এতে করে দ্বীপের মানুষের ভয়ভীতি ও আতঙ্ক কেটেগেছে।
আইএসপিআর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আইএসপিআর জানিয়েছে,
মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যৌথ অপারেশন্স পরিচালনা করছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির এই সংঘর্ষের কারণে নাফ নদী এবং নদী সংলগ্ন মোহনা এলাকায় বাংলাদেশী বোটের উপর অনাকাঙ্খিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে।

এবিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশকরতঃ গত ১২ জুন ২০২৪ইং প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মিয়ানমার এর সমুদ্রসীমায় এবং নাফ নদীর মিয়ানমার সীমানায় অবস্থানকরতঃ মিয়ানমারের দিকে আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। একই সাথে আরাকান আর্মিও মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ও বোট লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে।

বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজ উক্ত অপারেশন্স পরিচালনা করছে। মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্টমার্টিন এর অদূরে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় অবস্থানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে অবহিত করছে।

উল্লেখ্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষটি মিয়ানমারের মূল ভূখন্ড এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় চলমান রয়েছে। আরও উল্লেখ্য যে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সন্নিকটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড এর একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে।

মিয়ানমারের চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ সেন্টমার্টিন এর নিকটবর্তী হওয়ায় উক্ত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্টমার্টিন এর নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্নেষী মহল কর্তৃক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সকলকে এধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নৌবাহিনী ও কোস্টগাডএ এই তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জাবেদ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন নামের একজন লেখছেন-
সেন্টমাটিনে ইতোমধ্যে আমাদের বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগাড পৌঁছে গেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আমরা এদেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের পেছনে আছি।আপনাদের পরিবার এখন ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ।দ্বিধাহীনভাবে দায়িত্ব পালন করুন।জলে কিংবা স্থলে, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গার জন্য কোন ছাড় দেবেন না। আপনাদের শক্ত উপস্থিতি ইতোমধ্যে তাদের মনে ভয়ের ছাপ ফেলেছে। তারা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।এটাই প্রাথমিক সাফল্য। Morning shows the day’s. সকালের সূর্য বলে দেয় দিনটি কেমন যাবে। বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ও দক্ষতা বিশ্বের অপরাপর দেশের তুলনায় কোনঅংশে কম নয়।আতংকিত হবার কোন কারন নাই। তিনি আরো লেখেছেন, মিয়ানমারের জন্য আমাদের আনসার বাহিনীই যথেষ্ট। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.