ফিলিস্তিনে বঙ্গবন্ধু সড়ক
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে ফিলিস্তিনের হেবরনের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. রিয়াদ মালিকি। মঙ্গলবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ তথ্য জানান। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ফিলিস্তিন সরকার বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র আরবি অনুবাদের দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশনার কাজ শুরু করেছে।
আম্মানের ফিলিস্তিন দূতাবাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের নীতিগত সমর্থন ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অটুট রয়েছে। তার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই নীতিগত অবস্থান ধরে রেখেছেন। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্জিত বিভিন্ন সাফল্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও যখন অনেক দেশ অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হচ্ছে তখনও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী এ সময় বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ বাংলাদেশের জন্য গর্বিত। তিনি বঙ্গবন্ধু ও ইয়াসির আরাফাতের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, আমাদের প্রয়াত নেতা ফিলিস্তিনিদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর সমর্থনের প্রশংসা করতেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন ও সহযোগিতার জন্যও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যে উদারতা তা কেবল একজন মহান ও মানবিক নেতার পক্ষেই সম্ভব।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও পশ্চিমা বিশে^র অনেক দেশের স্বীকৃতি এখনও পায়নি ফিলিস্তিন। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় মূল ভূখণ্ড দুদেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। তবে ইসরাইল স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়নি ফিলিস্তিন। বরং তাদের পূর্ণ স্বাধীনতার স্বপ্ন দিন দিন ধূসর হচ্ছে। ২০১৯ সালে ন্যাম সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সে সময় আজারবাইজানের বাকু কংগ্রেস সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি এ কথা জানিয়েছিলেন।