ইয়ুথ ফর সাইন্সের কুইজ প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী ইবির বিল্লাল

0

ইবি প্রতিনিধি: ’ইয়ুথ ফর সাইন্স’ প্রতিযোগিতার ‘কুইজ প্রতিযোগিতা’ বিভাগে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন। তিনি ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেন প্রথম আলোর ‘বিজ্ঞান চিন্তা’ ম্যাগাজিন ও ফিউচার ফার্মিং বাংলাদেশ।

শনিবার মাসব্যাপী এ আয়োজনের চূড়ান্তপর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে। এখানে কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক পর্বের ৫৮ জন বিজয়ী অংশ নেয়।

এই প্রতিযোগিতায় তিনটি সেগমেন্টের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা নামে একটি সেগমেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইবি শিক্ষার্থী বিল্লাল। তিনি পুরষ্কার হিসেবে ১২ হাজার টাকার প্রাইজ মানি, ট্রফি, মেডেল, বই, ব্যাকপ্যাক, কিশোর আলো, বিজ্ঞানচিন্তা এবং চলতি ঘটনার ৬ মাসের ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, চরকির ১ মাসের ফ্রি সাবস্ক্রিপশনসহ বিভিন্ন ধরনের গিফট পেয়েছেন।

এই প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, বিজ্ঞান চিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম সহ অন্যান্যরা।

এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে ফিউচার ফার্মিং বাংলাদেশ এবং বিজ্ঞানচিন্তা যৌথভাবে ‘ইয়ুথ ফর সায়েন্স ২০২২’ আয়োজন করে। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে (রচনা, ফটোগ্রাফি ও কুইজ) অংশগ্রহণ করে। গত ১১ অক্টোবর এ আয়োজনের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা ১০, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সেরা ১০ এবং কুইজে অংশ নেওয়া সেরা ৭০ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘পুরস্কারটি পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। আমার কাছে প্রথমবার অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল! তবে পরে আমি বিশ্বাস করতে পেরেছি যে হ্যাঁ আমি পুরস্কার জিতেছি। এই অনুভূতি প্রকাশ ভাষায় করা সম্ভব নয়। এরকম বড় মঞ্চে নিজের নাম উচ্চারিত হতে দেখে আমি আপ্লুত হয়েছি। এই খবরটি শুনে আমার বাবা-মা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন যার ফলে আমার খুশি সব থেকে বেশি।’

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.