একজোড়া টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধারে পুলিশ সুপারের সাহায্য প্রার্থনা। ওসি আমিনপুর থানা জনাব রওশন কবিরের তৎপরতায় সমাধান

0

নিজস্ব প্রতিবেদক : একজোড়া টিয়া পাখির বাচ্চা উদ্ধারে পুলিশ সুপারের সাহায্য প্রার্থনা। ওসি আমিনপুর থানা জনাব রওশন কবিরের তৎপরতায় সমাধান।

গতকাল রাতে পুলিশ সুপার পাবনার সরকারী ফোনে আসা একটি মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারি আমিনপুর থানাধীন নয়াবাড়ী গ্রামের কাজী সারওয়ার আলম পিয়ার (৫৮) আলীর বসত বাড়ির বাহির আঙিনায় বেশ বড় বড় নারিকেল গাছ আছে প্রত্যেকটি নারিকেল গাছের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ ফিট করে। তারমধ্যে একটি নারকেল গাছ পিয়ার আলীর শয়ন ঘরের জানালার পাশে অবস্থিত। অনুমান পাঁচ বছর পূর্বে গাছটির মাথায় বজ্রপাত হলে গাছটি মারা যায়। মাটি হতে প্রায় ৪০ ফিট উপরে উক্ত নারকেল গাছের মধ্যে একটি গর্ত সৃষ্টি হয় এবং সেই গর্তে গত দুই থেকে আড়াই মাস পূর্বে এক জোড়া টিয়া পাখি বাসা বাঁধে, ডিম দেয়, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে, মা পাখিটা প্রতিদিন বাচ্চা টিয়া পাখি জোড়া কে খাওয়াতো সেই দৃশ্য পিয়ার আলী তার বাড়ির আঙিনায় বসে দেখত, গতকাল হঠাৎ করে বাচ্চাগুলো না পাওয়ায় সেগুলো চুরি হয়েছে সন্দেহ করে পিয়ার আলী পুলিশ সুপার পাবনাকে মেসেজ করে জানান।

পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ওসি আমিনপুর জানতে পারেন গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ০৬/০৫/২০২১ তারিখে নয়াবাড়ি গ্রানের জনৈক ব্যক্তির নজর পড়ে পিয়ার আলীর সুউচ্চ নারিকেল গাছের চল্লিশ ফুট উপরে কোঠরে বেড়ে ওঠা সুন্দর সেই ছানা জোড়ার উপর।তার নজর যেন শকুনের মত বারবার ছোবল মারতে থাকে। মায়ের বুকের মাঝে লুকিয়ে থাকা ছানা জোড়াকে মায়ের ভালো বাসা থেকে বঞ্চিত করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। মায়ের কোল থেকে ছানা জোড়াকে চিরতরে বঞ্চিত করার জন্য গত ইংরেজি ০৬ মে ঠিক মাগরিবের আযানের ১০ মিনিট পরেই সে (যে কোন গাছে উঠতে পারদর্শী ) তার নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে পিয়ার আলীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ বুঝে ছো মেরে ছানা জোড়া নিয়ে যাওয়ার সময় নয়া বাড়ি শীল পাড়া গ্রামের আরেক ব্যক্তির সাথে দেখা হলে,ঐ ব্যক্তি তার নিকট থেকে ১৫০০ টাকার বিনিময়ে টিয়া পাখির ছানা জোড়া কিনে নেয়। টাকা পেয়ে সে বাড়িতে না গিয়ে সেই টাকার মধ্য হইতে ৪০০ টাকা দিয়ে একটি শার্ট এবং ২০০ টাকা দিয়ে তাহার পায়ের স্যান্ডল কিনে। ৫০০ টাকা এলোমেলো খরচ করে আর বর্তমানে ৪০০ টাকা অবশিষ্ট আছে।

পুলিশ সুপার পাবনার নির্দেশনায় ওসি আমিনপুর সন্দেহবশত গতকাল রাতে উক্ত ব্যক্তির বাসায় গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তার ভিতরে বোধোদয় হওয়ায়, আজ সকালে যে কিনেছিল তার নিকট থেকে টিয়া পাখির ছানা জোড়া নিয়ে আসে। পরে এস আই রিপন কে পাঠিয়ে উক্ত বাচ্চাজোড়া উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পাখির মালিক পিয়ার আলীকে তাহার প্রিয় সেই টিয়া পাখির ছানা জোড়া উদ্ধার করা হয়েছে জানালে তিনি ভীষন খুশি হন। পেয়ার আলী ও ওসি আমিনপুর থানা টিয়া পাখির বাচ্চাদুটোকে আজ মুক্ত করেন। দায়ী ব্যক্তি বন্যপ্রানী আর এভাবে শিকার করবেন না বলে অঙ্গীকার করায় তাকে মুচলেকা দিয়ে তার আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.