ভাঙ্গুড়ায় কলেজ ছাত্রী সেলিনা খাতুন স্ত্রীর মর্যদা না পেয়ে, আত্মহত্যা করল গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে

0

পাবনা ও ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী সেলিনা খাতুন সুমি (২১) তার স্বামীর মর্যদা বঞ্চিত হয়ে অবশেষে জনসন্মুখে গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল ২১মে শুক্রবার বিকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল খাঁনমরিচ ইউ’পির ময়দানদীঘি বাজারে। আত্মহত্যা কারি যুবতী একই ইউ’পির চকদিগর গ্রামের হৃতদরিদ্র আবুল কাশেম প্রাং’এর কন্যা ও পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার বিষয়ে ঔই ছাত্রীর পিতার থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলার খাঁনমরিচ ইউপির পূর্বরাম নগর গ্রামের মৃত চোহা প্রাং এর পুত্র ও ময়দানদীঘি বাজারে প্রতিষ্ঠিত ডিসলাইন ব্যাবসায়ী ফজেল আলী ফজলু(৫৫)’র সাথে দূরসম্পর্কের আত্মীয় ও হতদরিদ্র পরিবার আবুল কাশেম প্রাং এর কন্যা ও মেধাবী ছাত্রী সেলিনা খাতুন সূমিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশুনার খরচ বহন করতো। এক সময়ে সেলিনার সাথে প্রেমের সম্পর্কটা দৈহিক জড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে পূর্বের স্ত্রীর(একাধিক সন্তান-সন্ত্বতি রয়েছে) অনুমতি ছাড়াই ২০১৮সালে গোপনে বিবাহে তারা বন্ধনে আবদ্ধ হয়।পাবনা শহরে পড়াশুনা সুবাদে বাসায় ও ময়দানদীঘি বাজারে বাসায় স্বামী -স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করে। ইতিপূর্বে সেলিনা তার স্বামী ফজেল কে স্ত্রী হিসাবে তার পূর্বরাম নগর বাড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য চাপ দিলে ফজেল বড়স্ত্রী ও সন্তানদের ভয়ে সেলিনাকে বাসায় নিতে অপরগতা প্রকাশ করে। গত ১০মে সেলিনা খাতুন পাবনা বাসা থেকে স্বামী ফজেলের কথা মতো ভাঙ্গুড়া উপজেলায় তার পিতা আবুল কাশেমের বাড়ি চকদিগর গ্রামে আসে। ২১মে ঘটনার দিন দূপুরে বাড়ি থেকে পিতা-মাতাকে না বলে সেলিনা ময়দানদীঘি বাজারে অবস্থিত স্বামী ডিস ব্যাবসায়ী ফজেল আলীর বাসায় আসে। স্বামী কৌশলে সেলিনাকে বাজারের বাসায় ফেলে উধাঁও হয়ে যায়। এ ঘটনার পর পরই সেলিনা তার স্বামীর পূর্বরামনগর বাড়িতে গেলে ফজেলের দ্বিতীয় স্ত্রীর দাবি নিয়ে বাড়িতে আশ্রায় নিতে গেলে পূর্বের স্ত্রী ও সন্তানেরা সেলিনাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। সিদ্ধান্ত নেয় নিজের জীবন পৃথিবীতে বিদায় করার জন্য স্বামীর অফিস কাম-বাড়ির সামনে বিকাল ২ ঘটিকার সময় গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করার কয়েক মিনিটের মধ্যে আর্তচিৎকার ছটফট করে । এলাকাবাসী অজ্ঞান অবস্থায় তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক বেলা ৩ ঘটিকার সময় ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয। অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা পাঠালে পথে মধ্য সেলিনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি (অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা) মামলা দায়ের হয়েছে।(যার নং০৭ ও তারিখঃ২১/০৫/’২১খ্রীঃ)। ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসাইন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে আত্ম হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে। ভাঙ্গুড়া থানায় ইউডি মামলা দ্বায়ের হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.