দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘উন্নয়নের ছোয়া ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠায় ঝটিকা সফরে নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ।
পাবনা প্রতিনিধি : বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘উন্নয়নের ছোয়া ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠায় ঝটিকা সফরে নির্মাণ কাজ পরিদর্শণ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ। মঙ্গলবার দুপুরে রেলপথে রাজশাহী হয়ে নাটোর এবং মহাসড়ক দিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঝটিকা সফরে আসেন মিহির কান্তি গুহ। এ সময় পাকশীস্থ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে দফতরের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি ঈশ্বরদীর রেলওয়ে জংশন স্টেশনের নির্মাণ কাজগুলো পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শণকালে মিহির কান্তি গুহ জানান, দেশ স্বাধীনের পর এই স্টেশনে কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি। পুরাতন বিল্ডিং, ট্রেনের উচ্চতার চেয়ে কয়েক ফিট নিচু প্লার্টফর্ম ছিল। ট্রেনযাত্রীদের তেমন কোন বসার জায়গা ছিল না। ২০১৯ সালের ২২ জুন ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশন পরিদর্শন করে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে যাত্রী-সেবার মান বাড়াতে একটু আধুনিকতার ছোয়া প্রয়োজন’ তাৎক্ষণিক তিনি পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার এই প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয় রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রেললাইন নির্মাণ, নতুন স্টেশন স্থাপন, রেললাইন সংস্কার কাজের পাশাপাশি তিনি ঈশ্বরদী প্লাটফর্মে যাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধির জন্য প্লার্টফর্ম সংস্কার, প্লার্টফর্ম উঁচু এবং যাত্রীদের সেবার মানবৃদ্ধির লক্ষে আধুনিক টয়লেট, বসার স্থানসহ রেলওয়ের আধুনিক ইয়ার্ড ও ডিজিটালাইজডকরণসহ নানামুখি যুগোপযোগী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। কাজ শেষ হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ ঝটিকা সফরের বিষয়ে মুঠোফোনে বলেন, শুনেছি কিছু গণমাধ্যমে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে নির্মাণসহ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দূর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শণকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশির বিভাগীয় দফতরের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক, পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, বিভাগীয় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজাউন-উর-রহমানসহ বিভাগীয়, কর্মকর্তাবৃন্দ, রেলওয়ের কর্মচারী ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।