ঈশ্বরদীতে শেখ রাসেল সংঘে হামলা : বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রাসেলের ছবি ভাঙচুর

0

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়াতে শেখ রাসেল স্মৃতিসংঘে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ছবি ভাঙচুর করে। শুক্রবার রাতে খারজানিতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা ক্লাবে সংরক্ষিত পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসের ছবি সম্বলিত নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলার পর ক্লাবের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় আল-আমিন (১৮) নামে এক যুবককে তারা মারধরও করেছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, খারজানির পাশের গ্রাম কামালপুর মৃধাপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মুকুলের সঙ্গে কামালপুর হঠাৎপাড়ার বারেক হোসেনের ছেলে লিমনের শুক্রবার সকালে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত ৮টায় লিমন ২৫-৩০জন সঙ্গে নিয়ে খারজানি মোড়ে মুকুলের খোঁজে আসে। একপযায়ে খারজানি মোড়ে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘে মুকুলের আত্মীয় আল-আমিনকে দেখতে পায় লিমন। এসময় তারা শেখ রাসেল সংঘের ভিতরে ঢুকে আল-আমিনকে মারধর করে। এরপর হঠাৎ করেই হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

স্থানীয় বাসিন্দা যুবলীগ নেতা শরীফ আহম্মেদ রুমন বলেন, হামলাকারী মিজান, মন্টু, কালাম ও লিমনসহ সবাই এলাকার ছেলে। তারা শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘে হামলা চালিয়েছে, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

খারজানি গ্রামের বাসিন্দা ও শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের প্রধান পৃষ্টপোষক বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকপ্রাপ্ত খামারী আকমল হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ব্যক্তিগত তর্কাতর্কির ঘটনার জের ধরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘে হামলা চালাতে পারে না। এর পেছনে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্যে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনের যে কোন সময়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.