গাংনীর একটি গ্রামের রাস্তায় দুটি কালভার্টের জন্য জনদুর্ভোগ চরমে
তৌহিদ উদ দৌলা রেজা: গাংনীর যুগিন্দা গ্রামের রাস্তায় দুটি কালভার্টের কারণে বেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রামবাসী। কালভার্ট দুটির একটি দেবে গেছে আর অপরটি ময়লা আর স্থানীয় লোকের বর্জ্য ফেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতা নিরষণে ইতোমধ্যে যুগিন্দা উত্তরপাড়ার লোকজন একটি কালভার্টের পাশ দিয়ে রাস্তা কেটে দিয়েছে। এতে যানচলাচলে আরো দুর্ভোগ বেড়েছে। জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে যুগিন্দা- পোড়াপড়া সড়কের যুগিন্দা দক্ষিণপাড়া বড় মসজিদ ও উত্তর পাড়া মসজিদের পাশে দুটি কালভার্ট দেয়া হয়। কালভার্ট দুটির কারণে গ্রামের পানি প্রবাহিত হয়ে পদ্ম বিলে পড়ে।
বছর তিনেক আগে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে দক্ষিণ পাড়ার কালভার্টটি দেবে যায়। একই ভাবে উত্তরপাড়ার কালভার্টটির মুখে বালি জমা ছাড়াও লোকজন বর্জ্য ফেলায় সেটিও পানি প্রবাহের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। দুটি কালভার্ট অকেজো হয়ে যাওয়ায় গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। রাস্তা সংস্কার কাজের ঠিকাদারের কাছেও বলা হয়েছিল। তিনিও কোন ব্যবস্থা নেন নি। এদিকে স্থানীয় লোকজন জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে নিজেরাই উত্তর পাড়া মসজিদ সংলগ্ন কালভার্টের পাশে রাস্তা কেটে
পানি নিষ্কাশন করেন। এই রাস্তা কাটার কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ পথচারী সহ বাহাগুন্দা, ইসলামনগন, ঢেপা, পাঙ্গাশীসহ অন্ততঃ পাঁচ গ্রামের বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িদের। তারা যানবাহনে করে মালঅমাল বহন করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
আবার রাস্তাটি খরাট করে দিলে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। একই অবস্থা দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দাদের। নতুন কালভার্ট না দেয়ায় সেখানকার বাসিন্দদেরও দুর্ভোগ। অপরদিকে গ্রামের কিছু সংখ্যক লোক রাস্তার পানি বাড়ির উপর দিয়ে যাতে না প্রবাহিত হয় সেজন্য বাড়ির পাশে মাটি ভরাট করেন। ফলে রাস্তার পানি জমে জলাবদ্ধাতা দেখা দিয়েছে। এতে করে দুর্ঘটনা ঘটছে হর হামেশা। যুগিন্দা গ্রামের মেম্বর মফিজুল হক জানান, তিনি অতি শীঘ্র পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিবেন। সেই সাথে রাস্তার পানি যাতে বের হতে পারে এবং যারা রাস্তায় পানি প্রবাহে বাঁধা দেয় তাদের সাথে আলাপ করে সমাধান করা হবে। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী খানম জানান, গ্রামের লেঅকজন সমস্যার বর্ণনা দিয়ে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।