মানিকগঞ্জে দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়ির অত্যাচারে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ
রফিক খান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের ঘিওরে দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়ির অত্যাচারে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গেলো বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উপজেলার নালী ইউনিয়নের হেলাচিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম শান্তা (২২)। তিনি ওই গ্রামের প্রবাসি মো: আজিজ খানের স্ত্রী এবং হরিরামপুর উপজেলার গোপিনাথপুর উজানপাড়া গ্রামের শেখ শফির মেয়ে।
এঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা শেখ শফি বাদি হয়ে ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের হেলাচিয়া গ্রামের আবুল হোসেন খানের ছেলে মো: আমিন উদ্দিন খান, মৃত ওয়ারিশ খানের ছেলে আবুল হোসেন খান ও আবুল হোসেন খানের স্ত্রী সেলিনার বিরুদ্ধে ঘিওর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে জেলার হরিরামপুরের গোপিনাথপুর উজানপাড়া গ্রামের শেখ শফির মেয়ের বিয়ে হয় ঘিওরের হেলাচিয়া গ্রামের আবুল হোসেন খানের ছেলে আজিজের সাথে। বিয়ের পরে আজিজ প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই ওই গৃহবধূর সাথে অত্যাচার ও শারিরিক নির্যাতন চালাতো তার অত্যাচারি দেবর, শ্বশুর ও শাশুড়ি। তাদের এই অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
মৃতের বাবা শেখ শফি জানান, আমার মেয়েকে গত দুই বছর ধরে অত্যাচার নির্যাতন করে আসতেছে মেয়ের দেবর,শ্বশুর ও শাশুড়ি। স্বামীর সংসার করার জন্য ও তার আড়াই বছরের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শত অত্যাচার মুখ বুজে সব সহ্য করত আমার মেয়ে। তবুও আমার মেয়েকে ওরা বাচতে দিল না। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন অত্যাচার ও শারিরিক নির্যাতনের কারনে আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।তিনি এসময় প্রশাসনের কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানায়।
এ ব্যাপারে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বিপ্লব জানান, এই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা হাসপাতালে লাশ পাঠানো হয়েছিল। এখনো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাইনি পেলে পরে আবারও জানানো হবে।