অভয়নগরে যৌতুকের দাবীতে সাত মাসের অন্তঃস্বত্তাকে নির্যাতন
সোম মল্লিক যশোর প্রতিনিধি : অভয়নগরে যৌতুকের দাবীতে স্বামী-শাশুড়ী কর্তৃক আশা খাতুন (২৪) নামে সাত মাসের এক অন্তঃস্বত্তা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে উপজেলার মশরহাটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিত নারী মূমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
নির্যাতিতার মা আজকের পত্রিকাকে জানায়, তিনবছর আগে বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আখের আলীর (৩০)সাথে আমার মেয়ে আশা খাতুনের বিয়ে হয়।জামাই আখের আলী অন্যের পিকআপ ভাড়া চালাতো। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আমার মেয়ের কাছে পিকআপ কেনার কথা বলে টাকা চাতো। মাঝে মধ্যে বেশ কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছে।তবে বছর খানিক ধরে আমার মেয়েকে টাকার জন্য অনেকবার মারধোর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমরা বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে আবার রেখে দিয়ে আসছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা। আমার মেয়ে অন্তঃস্বত্তা জেনেও ওরা তাকে নির্যাতন করতে দ্বিধাবোধ করিনি। ওরা আমার মেয়ের গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা কওে আসছিল। বাধ্য হয়ে আমি আমার মেয়ে আশাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। কিন্তু বাড়িতে এনে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না তাদের ভয়ঙ্কও থাবা থেকে। শনিবার বিকেলে আমরা যখন বাড়িতে ছিলাম না তখন জামাই আখের আলী, শাশুড়ী আফিয়া বেগম এবং ভাশুর বিলায়েত আলী আমাদেও বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।তখন আমার মেয়ে শ্বশুর বাড়ি যেতে না চাইলে তাকে (আশা) মারধোর শুরু করে।
এক পর্যায় তাঁর তল পেটে লাথি মাওে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য। তখন আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।এবং রক্তে ওর শাড়ি ভিজে যায়।এখন আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । তাঁর অবস্থা ভালো না। এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, শনিবার রাতে আশা নামে এক নারীকে নিয়ে তাঁর মা থানায় আসে। আশার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুটা সুস্থ হলে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।