অভয়নগরে নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে ব্রীজ নির্মাণ : ভেঙ্গে দিলেন এলজিইডি কর্মকর্তা

0

সোম মল্লিক যশোর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলা এলজিইডি দপ্তরকে না জানিয়ে নিম্নমানের সরঞ্জাম দিয়ে ব্রীজ নির্মাণ করার অভিযোগে সম্প্রতি সরেজমিনে হাজির হয়ে মাগুরা বাজারে প্রবেশ মূখের ব্রীজের কিছু অংশ ভেঙ্গে দিয়েছেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা শ্যামল কুমার। তথ্যে প্রকাশ, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাকাউল্লাহ নামে একজন ঠিকাদার অভয়নগরের প্রেমবাগ থেকে মনিরামপুর অভিমুখী প্রধান সড়কের মাগুরা বাজারে প্রবেশ মূখের ব্রীজটি নির্মানের টেন্ডার পান।

প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের প্রধান সড়কটি প্রায় অচল হয়ে থাকায় জনদুর্ভোগ ছিল চরমে। গত মাসে ব্রীজটির মূল কাঠামো দন্ডায়মান হলে জনগন এবং ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় এবং ব্রীজের বাকী কাজ চলমান থাকে। কিন্তু গত সপ্তাহে অভয়নগর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা শ্যামল কুমার স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্রীজটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং একপর্যায়ে তিনি ব্রীজটির কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্রীজটির রেলিংয়ের কিছু অংশ ভেঙ্গে চলমান কাজ বন্ধ রাখেন।

ব্রীজটি অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ফেলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উপজেলা এলজিইডি দপ্তরকে না জানিয়ে ঠিকাদার জাকাউল্লাহ নিম্নমানের সরঞ্জামাদি দিয়ে ব্রীজ নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, যে কারনে ব্রীজের কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং নীরিক্ষার পর বাকী অংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বিষয়টি পত্র মারফত জানানো হয়েছে, শিঘ্রই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ব্রীজ নির্মানের সকল কাজ স্থগিত থাকবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর দেবাশিষ দাস নান্টুর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জানেন এবং এলজিইডি কর্মকর্তাকে তদারকির দায়িত্ব দিয়েছেন।

এদিকে প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজ উদ্দিনের কাছে ব্রীজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলজিইডি কর্মকর্তা নিজে উপস্থিত থেকে ব্রীজটি ভেঙ্গে দিয়েছেন এবং চলমান কাজ স্থগিত রেখেছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, ব্রীজ নির্মাণে ব্যবহৃত মালামাল নিম্নমানের। সঠিক তদন্ত ও যথাযথ নীরিক্ষার মাধ্যমে ব্রীজটি নির্মিত হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবেন বলে সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করেন।

এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আমিনুর রহমান খান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে। নিম্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে ব্রিজটির কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.