অভয়নগরে শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসা সভাপতি আটক
যশোর প্রতিনিধি : অভয়নগরের চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা হাফেজিয়া ও মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি সবুর শেখ কর্তৃক একই গ্রামের মাদ্রাসার মহিলা বিভাগের শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় ওই সভাপতিকে পুলিশ আটক করেছে। এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টায় আর সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার, মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর নুরুজ্জামান। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভূগী জানান, আমি সকালে মাদসার আবাসিকে নির্ধারিত আমার ঘরে ছিলাম, মাদ্রাসার সভাপতি সবুর শেখ আমার ঘরে প্রবেশ করে জানতে চায় আমার স্বামী কোথায়? আমি বাসায় নেই বললে সে আমার গায়ে হাত দেয় এবং হাত ধরে টানাটানি করে।
এক পর্যাায়ে আমি চিৎকার দিলে এলাকাবাসী জড়ো হলে সে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। ঘটনা জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকার সচেতন মহল গতকাল বুধবার বিকেলে মাদ্রাসায় শালিশী বৈঠকে বসে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসি এহেন কর্মকান্ডের বিচারের দাবীতে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
পরে মাগরিবের নামাজ শেষে বিক্ষুদ্ধ জনতা সবুর শেখের বাড়িতে গিয়ে তাকে ধাওয়া দিলে মাদ্রাসার সেক্রেটারি নুরুজ্জামানের বাড়িতে আশ্রয় নেই। তখন সেক্রেটারী গাজীপুর ফাঁড়ির আইসি সুকল্যাণ সুষ্টু বিচারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসি শান্ত হয়। এব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মারুফ হোসেন তুহিন জানান, এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার না হলে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সবুরের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন একাধীক অভিযোগ রয়েছে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম শামীম হাসান জানান, এলাকাবাসি আটক করে গণধোলাই দেয়ার চেষ্টা করেছিল, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষিকা অভিযোগ দিলে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।