গৌরীপুরে ধান ব্যবসায়ীর পর বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী খুন

0

মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ধান ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয় গত বৃহস্পতিবার খালিজুড়িতে। সেই হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার খুন হলো বিকাশ, রিচার্জ ও মোবাইল ব্যবসায়ী মঈনুল হাসান পলাশ (৩০)। এ ঘটনা ঘটে রোববার ৮ আগস্ট/রাত সাড়ে ৯টায়। ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর মোড়ের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মঈনুল হাসান পলাশকে দুর্বৃত্তরা উর্পযুপুরি ছুরিকাঘাতে করে। ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তিনি চরশ্রীরামপুরের মৃত আবুল কাসেমের পুত্র।
দুটো হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক সংস্থা কাজ করছেন।

গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত পলাশের ছোট ভাই নাইমুল হাসান রুবেল বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩জনকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে কাজল মিয়া, আতিক ও রায়হান এ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য চরশ্রীরামপুরের মৃত আবু সাঈদ মাস্টারের পুত্র নিহতের চাচাতো ভাই এ এফ এম জাহিদ হাসান বাবু জানান, চরশ্রীরামপুর মোড়ের বাজারে পলাশের মোবাইল, ফ্যাক্সিলোড, নগদ, রকেট ও বিকাশের ব্যবসা করতেন। দোকান বন্ধ করে সঙ্গে ৪/৫লাখ টাকাসহ বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে কয়েকটি মোবাইল ফোনও ছিলো। দুর্বৃত্তরা বাড়ি ফেরার পথে চরশ্রীরামপুরের ফজলুল হকের পুকুরপাড়ে এলে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত ঘটনাস্থলেই হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। নিহতের বড় ভাই মাহবুব কায়েস জুয়েল জানান, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক সরকার জানান, আমরা খবর পেয়ে এসে দেখি পলাশের লাশ রাস্তায় পড়ে রয়েছে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তার মা সায়েদা বেগম বলেন আমার ছেলেতো কোনদিন কারো সঙ্গে জোর টু শব্দটাও করে নাই, তাহলে তাকে কেন মেরে ফেললো। স্বামীর জন্য বারবার আর্তনাদ করছেন তার স্ত্রী লিমা আক্তার। নিহত পলাশের রয়েছে ৫ মাসের শিশু সন্তান, তার নাম সাদিয়া নুর সাবা। অপরদিকে নেত্রকোণা জেলার খালিজুড়ির লিপসিয়ায় সোমবার ২ আগস্ট ৩লাখ ৬০হাজার টাকা নিয়ে ধান কিনতে যাওয়া ধান ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদের। বৃহস্পতিবার ৫ আগস্ট লিপসিয়ার চৌতারা বিলে নিহতের বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। তিনি গৌরীপুর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র। এ ঘটনায় তার বড় ভাই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে খালিয়াজুড়ি থানায় ৬ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান জানান, হারারকান্দি গ্রামের বাদল মিয়া ও পাভেল মিয়াকে গ্রেফতার করে শনিবার বিজ্ঞ আদালতের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার ৯ আগস্ট আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.