আনোয়ারায় ঘন ঘন লোডশেডিংয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিবাদ সাধারণ  গ্রাহকের

0

শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতাধীন ঘোষণা করা হলেও লোডশেডিংয়ে  সাধারণ গ্রাহকের  জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ গ্রাহকরা। গতকই একদিন আগে থেকেই লোডশেডিং বেড়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। গত ২৫ জুলাই ৩৩ কেভি লাইনের সংস্কার করা হয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ কারণে ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে পল্লীবিদ্যুৎ আনোয়ারা জোনাল অফিস। এর পর থেকেই ঘন ঘন লোডশেডিংহচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রতিবাদ করছেন সাধারণ গ্রাহকরা। চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন আনোয়ারা উপজেলায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক মিলে প্রায় ৭১ হাজার সংযোগআছে। যার জন্য প্রতিদিন পিক ও অফ পিক আওয়ার মিলে ১৬.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির পাম্প, ফটোকপি মেশিনসহ বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। চলতি ইলিশের ভরা মৌসুমে বরফ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এলাকার কল-কারখানাগুলোতে।কখনো কখনো বিদ্যুৎ চলে গেলে কয়েক ঘণ্টা পর আসে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা- যাওয়া ও করে।

লোডশেডিংয়ে বিষয় সাধারণ গ্রাহকদের, এক গাঁদা  অভিযোগ এ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতের  আওতাধীন ঘোষণা করা হয়।কয়েক বছর হলেও সেবার মান বাড়েনি এখনো ।আনোয়ারা শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা  হলেও এই মুহূর্তে প্রধান সমস্যালোডশেডিং । প্রায় প্রতিদিন ৩৩ কেভি লাইনের সমস্যা, গাছের ডালপালা কাটা থেকে শুরু করে ঘোষণা দিয়ে বিদ্যুৎ বন্ধেরপাশাপাশি সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ। সাধারণ গ্রাহকরা এ জন্য উৎপাদনের তুলনায় বেশি সংযোগ ও কর্তৃপক্ষেরঅবহেলাকে দায়ী করছেন। পল্লীবিদ্যুৎ  আনোয়ারা জোনাল অফিসের (এজিএম ) নেজাম উদ্দীন বলেন , ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটহচ্ছে। তাছাড়া ৩৩ কেভি লাইনের সমস্যা হলে লোডশেডিংয়ে হয়, প্রকৃতপক্ষে বিদ্যুৎতের  কোনো ঘাটতি নেই।

 

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.