পাবনায় গণপূর্তের প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় মামলা

0

পাবনা প্রতিনিধি : ঝুলিয়ে রাখা কাজের তাগিদ দেওয়ার অপরাধে পাবনা গণপূর্ত ভবনের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে উপসহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ঠিকাদার মোকছেদুল আলম নয়ন পলাতক রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, মারধরের শিকার গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৫, তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১। পুলিশ আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বলেন, অনাকাংখিত এই ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারছিনা। আমরা আইনের দারস্থ হয়েছি। পাশাপাশি ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষতে অবহিত করা হয়েছে। তাদের পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হবে।
অভিযুক্ত ঠিকাদার মোকছেদুল আলম নয়নের গণপূর্ত বিভাগে কাজের লাইসেন্স বাতিল হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার দিনে ঠিকাদার নিজে কাজ করলেও লাইসেন্স ছিল অন্য ঠিকাদারের। তারপরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। সেটাও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিন্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
স্থানীয় ঠিকাদাররা জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম পাবনাতে যোগদানের পর থেকে কতিপয় ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস করে অনৈতিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে একের পর এক কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। তারা অভিযোগ করেন, তিনি ঘনিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে গোপনে ব্যবসায়িক পাটনার হিসেবে কাজ করেন। এ ধরণের কর্মকান্ডের কারণে তিনি সাধারণ ঠিকাদার মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগগুলো সঠিক নয়। এ ধরণের সম্পৃক্ততা নিয়ে কখনো নিরপেক্ষ ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত ঠিকাদারের সাথে যদি আমার কোন ধরণের সম্পর্ক থাকতো তাহলে আমি প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা করতে বা পুলিশ প্রশাসনকে জানাতাম না।
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঝুলন্ত কাজগুলো দ্রুত শেষ করে দেয়ার তাগাদা দেওয়ায় মেসার্স নুর কন্সট্রাকশনের স্বত্তাধিকারী মোকছেদুল আলম নয়ন অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন উপসহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারকে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.